নেত্রকোনা জেলায় এ বছর কৃষকদের কাছ থেকে ১৫ হাজার ৬৮০ মেট্রিক টন ধান এবং মিলারদের কাছ থেকে ৩৬ হাজার ৫২৪ মেট্রিক টন চাল কিনবে সরকার। যা ছোটখাটো একটি হাওরেই উৎপাদন হয়।
কৃষি বিভাগের তালিকা তৈরির পরই আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে এ সকল ধান-চাল কেনা শুরু করা হবে বলে জানালেন খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুরাইয়া আক্তার। ধানটা প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকেই কেনা হবে বলেও জানান তিনি।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, হাওরে যেহেতু আগেই রোপন হয় এবং আগেই কেটে ফেলা হয় সেহেতু এখানকার ধান ইতিমধ্যে তুলে ফেলেছেন কৃষক। অনেকে শুধু খোরাকি রেখে বিক্রিও করে দিয়েছেন। ফলে হাওরের ধান বেশি নেই। তবে কেউ বিক্রি করতে চাইলে আদ্রতা অনুযায়ী নিয়ে আসলে তাদের থেকেও ধান নেয়া হবে।
অন্যদিকে, হাওর থেকেই কৃষকেরা ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে ন্যায্য মূল্য থেকে বরাবরের মতোই এবারো বঞ্চিত কৃষককূল। সরকারি গুদামে যাওয়ার সুযোগ সাধারণ কৃষকদের হয় না বলে জানান কৃষক রফিকুল ইসলাম, মন্টু তালুকদারসহ অন্যরা।
তারা আরও জানান, যে কয়জন কৃষক থেকে ধান কেনা হয় সেটি তারা আগেই বাছাই করে রাখেন। আর আমাদের ধান বিক্রির পরে তাদের কেনা শুরু হয়।
এদিকে কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এ বছর শুধুমাত্র হাওরাঞ্চলে ৪০ হাজার ৮৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তারমধ্যে আজ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কাটা হয়েছে ৩৫ হাজার ১৯০ হেক্টর। যা থেকে আনুমানিক আড়াই লক্ষ মেট্রিকটন ধান এবং ১১ লক্ষ মেট্রিকটন চাল উৎপাদন হবে।
এছাড়াও জেলায় মোট ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে সমতলে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার হেক্টরের মধ্যে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ হাজার হেক্টর কর্তন হয়েছে।
নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. হাবিবুর রহমান জানান, জেলায় শুধুমাত্র ধানই উৎপাদন হয় ১১ লক্ষ মেট্রিক টন। আর চাল হয় সাত লক্ষাধিক মেট্রিক টন। তারমধ্যে নেত্রকোনা জেলায় চালের চাহিদা রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মেট্রিক টন। বাকীগুলো দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা মেটায়।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম