করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থবিরতা দেখা দিলেও দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। লকডাউনের কারণে রপ্তানি বন্ধ থাকলেও আজ দুপুর থেকে এ পথে শুরু হয়েছে ভারত থেকে পন্য আমদানি। তাছাড়া পূর্বে আমদানি হয়ে আসা গার্মেন্টস শিল্প ও অন্যন্যা শিল্প কারখানার কাঁচামাল এবং জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে বেনাপোলে কাস্টমস হাউস ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
ইমিগ্রেশন পুলিশের সাথে কাস্টমস কর্মকর্তারাও চেকপোস্ট কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের সেবা প্রদান করছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন চৌধুরী জানান, সরকারি নির্দেশে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠপ র্যায়ে কাজ করছেন। কাস্টমসকেও প্রণোদনা দেওয়া উচিত। তাহলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও প্রত্যেকে কাজ করবে সার্বক্ষণিক।
তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও আমরা বেনাপোল ছেড়ে যেতে পারছি না। আমরা যারা বেনাপোলে আছি এদের বেশীর ভাগ পরিবারই অবস্থান করেন ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে। তারা কিভাবে থাকছে কি খাচ্ছে কোনো সাবধানতা অবলম্বন করছে কিনা তাও জানি না। ফোনে যতোটুকু খবর নেওয়া যায় সেটুকু নিয়ে থাকি। আমরা পরিবার পরিজন ফেলে রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারের রাজস্ব আদায়ের কাজ করে যাচ্ছি অথচ আমাদের কোনো প্রণোদনার ব্যবস্থা নেই!
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার জানান, যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন তাদের অবশ্যই প্রণোদনা পাওয়া উচিত। তাহলে বন্দরের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে আরো উৎসাহিত হবেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল