হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের নূরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া সরকারি চাল বিতরণে চরম অনিয়ম করেছেন। তার হেফাজত থেকে চলমান করোনাভাইরাস সংকটে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১ হাজার ৭০০ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে। আরও ৩০০ কেজি চালের হদিস পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও টিপ সই নিলেও ভিজিডি কর্মসূচির চাল না দিয়ে তা তসরুফ করে নেয়ার অভিযোগেরও সত্যতা পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার (৮ মে) রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফত রানার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এসব চাল জব্দ করা হয় এবং অভিযোগের সত্যতা পায়।
অভিযানের খবর পেয়ে গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যান ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।এর সত্যতা স্বীকার করে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফাত রানা জানান, গত ২/৩ মাস ধরে ভিজিডির চাল বিতরণে অনিয়ম করছেন ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া। সুবিধাভোগীদের নাম তালিকায় রয়েছে, তাদের টিপসইও রয়েছে। কিন্তু তারা চাল পায়নি।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এবং মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ৬ (৫) ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি পলাতক রয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ