কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট হয়ে করোনা ঝুঁকি নিয়ে ঈদে ঘরে ফিরছে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। ঢাকা থেকে ঈদকে সামনে রেখে ফিরতে শুরু করেছে শ্রমজীবী, চাকরিজীবী সাধারণ মানুষ। লঞ্চ স্পিডবোট বন্ধ থাকায় বাড়তি চাপ বেড়েছে ফেরিতে।
ফেরিগুলো যানবাহন পারাপারের পাশাপাশি যাত্রী পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকেই মানুষ নদী পার হচ্ছে।
ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে শুরু হয় পারাপারের প্রতিযোগিতা। সকাল থেকে রাজধানী থেকে বিভিন্ন উপায়ে ঘাটে এসে জড়ো হয় যাত্রীরা। যাত্রীদের ভিড়ে যেন করোনা উৎসবে পরিণত হয় কাঁঠালবাড়ি ঘাট। দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সতর্ক থাকলেও পদ্মা নদীর কাঁঠালবাড়ি -শিমুলিয়া নৌরুটে যেন পারপারে প্রতিযোগিতায় লেগেছে হাজার হাজার মানুষ।
বিআইডব্লিউটিসি কাঠালবাড়ি ঘাটের সহকারি ব্যবস্থাপক সামসুল আরেফিন বলেন, সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকা থেকে বিভিন্ন উপায়ে সাধারণ মানুষ ঘাটে এসে ভিড় করছে। জরুরী পরিবহনের জন্য ফেরি উন্মুক্ত করলেই হুমরি খেয়ে যাত্রীরাও উঠছে ফেরিতে। ১৭ টি ফেরীর মধ্য ৩ টি রোরো, ৩ টি ডাম্ব, ৩ টি কে টাইপ ও ১ টি মধ্যম ফেরীর মাধ্যমে যাত্রী ও যানবাহন পার করানো হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল