ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে জয়পুরহাটের তিনটি উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রাম। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী ক্ষয়-ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ক্ষেতলাল উপজেলায়। এছাড়া কালাই এবং জয়পুরহাট সদরেও ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবল বেগের ঘূর্ণিঝড়ে বাড়ির ওপর গাছ ভেঙে পড়লে দেয়াল চাপায় একই পরিবারের মাসহ দুই শিশুর মৃত্যু হয়।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষেতলালে মুরগী খামারের সেড ভেঙে মারা গেছে প্রায় ৪০ হাজার মুরগি। প্রায় দুই হাজার বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের চালা উড়ে গেছে। শত শত গাছ ও বিদ্যুতের শতাধিক খুঁটি উপড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত জেলার প্রায় ৯০ ভাগ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছন্ন রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, জেলার উপর দিয়ে প্রবল ঝড় বয়ে যাওয়ায় ক্ষেতলাল, কালাই ও জয়পুরহাট সদর উপজেলা এলাকার প্রায় ৪০টি গ্রামের দুই হাজার ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছ-পালা এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে অজস্র।

ক্ষেতলালের তিলাবদুল এলাকায় মুরগীর খামারের সেড ভেঙে অন্তত ৪০ হাজার মুরগি মারা গেছে।
    
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত