লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামের আহাম্মদ শরিফ নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। ওই কাপড় ব্যবসায়ী নির্যাতন থেকে বাঁচতে তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম মায়া’র বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগও করেছেন।
অভিযোগপত্রে স্ত্রীর পাশাপাশি তার পুত্র, মেয়ে, শ্যালক ও ভায়রাকে আসামি করা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, শহরের কাপড় ব্যবসায়ী ও দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামের নছের উদ্দিনের ছেলের আহাম্মদ শরিফ থানায় তার স্ত্রী, ছেলে আহসান হাব্বি মোজাহিদ, মেয়ে আসমাইল হুসনা সোনিয়া, শ্যালক আ. ছালাম রোকন ও ভায়রা কোরবান আলীকে আসামিকে করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তার আগে তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম মায়া বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় আহাম্মদ শরিফের বিরুদ্ধেও একটি মামলা দায়ের করেন।
আহাম্মদ শরিফ তার অভিযোগপত্রে দাবি করেন, বিয়ের পর থেকেই তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম মায়া তাকে নানা সময় শারীরিক নির্যাতন করেন। স্ত্রী রোকেয়া বেগম মায়া জোরপূর্বক তার কাছে জমি কবলা করে চায়। এ ঘটনায় তার স্ত্রীকে তার ছেলে, মেয়ে, শ্যালক ও ভায়রা সহযোগিতাও করেন। তাদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে গত ৫ মে আহাম্মদ শরিফকে আদালতের মাধ্যমে স্ত্রী রোকেয়া বেগম মায়াকে তালাক দেন। তারপরও গত ১১ জুন তাকে নির্যাতন করেন স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, শালক ও ভায়রা।
আহাম্মদ শরিফ বলেন, আমাকে শুধু আমার স্ত্রী নয়, আমার ছেলেও কয়েকবার নির্যাতন করেছেন এলাকায় গেলে শত শত মানুষ সাক্ষী দিবেন।
তবে আহাম্মদ শরিফের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তার রোকেয়া বেগম মায়া বলেন, আমার স্বামী ২য় বিয়ের অনুমতি চেয়ে ছিলেন। অনুমতি না দেয়ায় আমাকে নির্যাতন করেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, ইতোমধ্যে সহকারী পুলিশ সুপারসহ আমি সরেজমিন তদন্ত করেছি। পুরো বিষয়টি আরও অধিকতর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত