নেত্রকোনার খালিয়াজুরিতে নৌকার মাঝি কাইয়ূম হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নৌকার ভেতরে অনৈতিক কার্যকলাপ করায় মাঝি তা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে তাকে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলার কয়েকদিন পর লাশ ভেসে উঠলে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় একজনকে আটক করলে তার দেওয়া তথ্যমতে আরও চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সোমবার দুপুরে খালিয়াজুরি থানার ওসি এটি এম মাহমুদুল হক এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি আরও জানান, খদ্দেরদের সাথে পার্শ্ববর্তী শাল্লা উপজেলা থেকে যে নারী এসেছিল তাকে এখনও পাওয়া যায়নি। তবে তাকেও খুঁজছে পুলিশ।
বিবরণে ওসি জানান, ঘটনার প্রধান আসামি সৈয়দ নূর (৭ জুন) কাইয়ুমের নৌকাটি ভাড়া করে শান্নায় নিয়ে গিয়ে সেখানে পৌঁছে কাইয়ুমকে খাওয়া দাওয়া করায়। পরে আরও চার সহযোগীসহ একজন নারীকে খবর দিয়ে নিয়ে আসে। রাতে নৌকার মধ্যে ওই নারীর সাথে অনৈতিক কাজ করার ঘটনা মাঝি কাইয়ুম মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। এ নিয়ে তাদের সাথে কথাকাটি হয়। কাইয়ুম টাকা চাইলে এক পর্যায়ে নৌকার বৈঠা দিয়ে কাইয়ুমের মাথায় আঘাত করে। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য হত্যাকারীরা কাইয়ুমের হাত পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়।
এদিকে কাইয়ুমের নৌকাটি তারা ১৭ হাজার টাকায় সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুরে বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়।
অন্যদিকে, ৭ জুন কাইয়ূম নিখোঁজের পর ১০ জুন দুপুরে আদাউড়া হাওরে লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ উদ্ধারের পর পরিবারের লোকজন তা শনাক্ত করে। ১১ জুন কাইয়ুমের বড় ভাই মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ নানা কৌশল অবলম্বন করে যে ব্যক্তি নৌকাটি ভাড়া নিয়েছিল সৈয়দ নূরকে ১২ জুন আটক করে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে আরও ৪ জনকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়। অন্য আসামিরা হচ্ছেন, আমানীপুর গ্রামের আলামিন, শামীম, আমীর হামজা ও কামাল হোসেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম