৫ জুলাই, ২০২০ ১৬:০২

ঠিকাদারি কাজে অবৈধ সংযোগ, গ্রাহকদের ঘাড়ে ভুতুড়ে বিল

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

ঠিকাদারি কাজে অবৈধ সংযোগ, গ্রাহকদের ঘাড়ে ভুতুড়ে বিল

মোহনগঞ্জে মিটার না নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি থেকে সরাসরি লাইন দিয়েই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিংয়ের কাজ সমাপ্ত। এদিকে ভুতুড়ে বিলের চাপ গ্রাহকদের ঘাড়ে। করোনাকালেও বাড়তি বিল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এমন অভিযোগের ব্যাপারে ডিজিএম বলেন, লাইন খুলে ফেলা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ নেওয়া হবে ঠিকাদারের কাছ থেকে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মোহনগঞ্জের কৃতি সন্তান সাজ্জদুল হাসানের প্রচেষ্টায় উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নিজ উপজেলার মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বহুতল ভবন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়। আর এই কাজ পায় বাছেত প্রকৌশলী নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেই কাজে তারা বিদ্যুৎ অফিস থেকে কোন মিটার না নিয়ে সরাসরি বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে অবৈধভাবে লাইন টেনে কাজ করেন। এতে কয়েক লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে ঠিকাদারের কাজের বিল গ্রাহকদের থেকে আদায় করে হয়রানির অভিযোগ করেন তারা।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একজন স্টাফ জানিয়েছেন, এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর আগেও এই বিদ্যালয়ের একটি চারতলা ভবন নির্মাণ করেছে। ওই সময়েও তারা আমাদের স্কুলের লাইন থেকে সংযোগ নিয়ে কাজ সেরেছে। ফলে তাদের কাজের কারণে আমাদের স্কুলের ৫০ হাজার টাকা বিল গুনতে হয়েছে বাড়তি। এবার আমরা সতর্ক হয়েছি। 

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ গ্রাহক এমদাদুল ইসলাম খোকন বলেন, কারো বাসা-বাড়িতে অবৈধভাবে রান্নার চুলা ব্যবহার করলেই বিদ্যুৎ অফিস জেনে যায়। আর রাস্তার পাশে দুই তিন মাস ধরে সরাসরি লাইন থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে এতবড় প্রকল্প চালাচ্ছে কেউ জানে না। এটা অবাক করার মতোই। 

ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের রনি নামের সাইট ম্যানেজার দাবি করেন, অনুমতি নিয়েই তারা এ কাজ করছেন। 

মোহনগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম বিপ্লব কুমার পাল বলেন, আমরা খবর পেয়েই লাইন কেটে দিতে বলেছি। দুইমাসে যা ক্ষতিপূরণ হয়েছে তা ঠিকাদারের কাছ থেকে আদায় করা হবে। আগের বিল দেখে বিলগুলো করার কথা স্বীকার করে সাধারণ গ্রাহকদের বিলের ব্যাপারে অভিযোগ থাকলে তা ক্ষতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর