৫ জুলাই, ২০২০ ১৬:৩৩

তিস্তায় পানি কমতে শুরু করেছে, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

তিস্তায় পানি কমতে শুরু করেছে, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

কমতে শুরু করেছে লালমনিরহাটের নদ-নদীর পানি। একদিনের ব্যবধানেই তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচে নেমে এসেছে। ফলে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই নদ-নদীর পানি অনেকটা কমে এসেছে। তবে পানিবন্দী রয়েছে এখনো চরের অন্তত ২০ হাজার পরিবার। সেখানে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। 

তিস্তার পানি কমলেও ধরলার পানি এখনো বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলের কারণে তৃতীয় দফায় তিস্তা নদীর চর এলাকাগুলো প্লাবিত হলেও পানি কমতে শুরু করেছে। তবে ধরলার পানি বেড়ে লালমনিহাটের পাটগ্রাম ও সদর উপজেলার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। আতঙ্কে রয়েছে অববাহিকার মানুষ।

তিস্তা ব্যারেজের ভাটিতে থাকা লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি, পাটিকাপাড়া, সির্ন্দুনা, সানিয়াজান, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডার, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার, কুলাঘাট, রাজপুর ও খুনিয়াগাছ ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের, বন্যাকবলিত মানুষগুলো বলেছেন, পানিবন্দি হয়ে অনাহারে থাকলেও এখন পর্যন্ত  মেলেনি তেমন কোন সাহায্য সহযোগিতা।

মহিষখোজা ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, তিস্তার ভাঙ্গা গড়ায় তার ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষের জীবনকে বিধ্বস্ত করে ফেলেছে। চলতি বন্যায় তিস্তার ভাঙ্গনে এখানে ৮১টি ঘরবাড়ী বিলিন হয়েছে। তিস্তার পানি বাড়া কমার খেলায় নিঘুর্ম রাত কাটছে  কয়েক হাজার মানুষের।

যদিও লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানালেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর জন্য ১২শ ৫৩ মেট্রিকটন চাল, ১৩ লাখ ৪২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যে কোন সমস্যায় প্রশাসন পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর