কালনী ভেড়ামোহনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বদলে যাচ্ছে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার মানচিত্র। নদীর পশ্চিমপাড়ে মাইলের পর মাইল চর পরে ভরাট হলেও পূর্ব পাড়ে বর্ষা মৌসুম শুরু হতেই ভেড়ামোহনার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
গত কয়েক বছর ধরে চলা ভাঙনে কাকাইলছেও ইউনিয়নের সৌলরী, মণিপুর, বদরপুর, নজরাকান্দা, কাদিরপুর, জয়নগর ঋষিহাটি,শাহানগর, রুদ্রনগরসহ ১০টি গ্রামের প্রাচীন শতশত বশতভিটে বাড়ি মসজিদ মাদ্রাসাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে। সব হারিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে কিংবা অন্যের বাড়িতে।
বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে গত কয়েকদিনের অতিবর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে পানি বাড়ায় তিব্র হয়েছে এসব এলাকার নদী ভাঙন। দিশেহারা হয়ে পরেছে নদীর তীরবর্তী মানুষজন। গত কয়েকদিন ধরে কালনী-কুশিয়ারা, ভেড়ামোহনায় পানি বৃদ্ধির কারণে সৌলরী লঞ্চঘাটসহ আশপাশের ৫০টি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এর পূর্বে মণিপুর গ্রামের মসজিদ ও মাদ্রসা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। প্রতিদিনই কারো না কারো বাড়ি নদী ভাঙনের কবলে পড়ছে।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত বলেন, সৌলরীসহ ১০টি গ্রাম এলাকার নদী ভাঙন রোধে প্রায় ৩০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল