১১ জুলাই, ২০২০ ১৮:০৬

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মসলা পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি, কমেছে দাম

দিনাজপুর প্রতিনিধি

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মসলা পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি, কমেছে দাম

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযাহকে সামনে রেখে প্রতিবছর দেশের বাজারে মসলা জাতীয় পণ্যের যেমন চাহিদা বাড়ে, তেমনি দামও বাড়ে। আর এই চাহিদাকে সামনে রেখে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মসলা জাতীয় পন্যের আমদানী বৃদ্ধি পাওয়ায় হিলির স্থানীয় আড়ৎ ও খুচরা বাজারে কমেছে মসলা পণ্যের দাম। 

কিন্তু সে তুলনায় দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন মসলার দোকানে খুচরা বিক্রিতে কমেনি দাম। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন দাম কমবে। 

গত ৮ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরুর পর থেকেই মসলা জাতীয় পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হিলির আড়ৎ ও খুচরা বাজারে কমেছে দাম। ঈদে দেশের বাজারে মসলার দাম স্বাভাবিক রাখতে বেশি বেশি আমদানি করা হচ্ছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে আমদানি বাড়ায় সরকারের রাজস্বও বৃদ্ধি পেয়েছে।

আমদানি বাড়ায় হিলির স্থানীয় আড়ৎ ও খুচরা বাজারে কমেছে আমদানিকৃত আদা, রসুন, জিরা, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের মসলার দাম। 

হিলির বাজারে দেখা যায়, লকডাউনের আগে হিলির আড়ৎ ও খুচরা বাজারে প্রতি প্যাকেট জিরা বিক্রি হয়েছে ৪৬০ টাকা দরে, এখন দাম কমে প্রতি প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়। সাদা এলাচ বিক্রি হয়েছে ৩২০০ টাকা কেজি দওে, এখন তা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ টাকা দরে। ৩৮০ টাকার দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায় এবং ৮৫০ টাকার লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকা দরে। 

হিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা সিজার ও লেবু জানান, ঈদের বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। আমদানি বেশি থাকায় এবার সবধরনের মসলার দাম কম। দাম কম থাকায় ক্রেতারা স্বস্তিতে যেমন কিনচে তেমনি বিক্রিও হচ্ছে। আশা করি এবার মসলার দাম বাড়বে না। 

ক্রেতারা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে কিছুটা আয় কমে গেছে আমাদের। সামনে কোরবানি ঈদ বাজারে সব মসলার দামই কমছে। এটা আমাদের জন্য ভালো। 

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, যেহেতু এবার করোনা ভাইরাসের কারনে বহিঃবিশ্ব থেকে মসলা আমদানি বন্ধ আছে। এসময় যাতে দেশের বাজারে এই পণ্যের সংকট কিংবা দাম না বাড়ে সেদিকে লক্ষ রেখে হিলি স্থলবন্দররের আমদানিকারকরা বেশি বেশি মসলা ভারত থেকে আমদানি করছে।ঈদের আগে আরো বেশি পরিমান মসলা আমদানির জন্য ইতিমধ্যে ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি এবার ঈদ উপলক্ষে মসলা দাম বাড়বে না ক্রেতার নাগালে থাকবে।

হিলি কাষ্টমসের সহকারী কমিশনার আব্দুল হান্নান সাংবাদিকদের জানান, করোনায় দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গেলো ২২ কর্ম দিবসে ভারত থেকে বিভিন্ন প্রকার ১ লক্ষ ২০ হাজার ৬শ ৯২ মেট্রিক টন মসলা আমদানি করা হয়েছে। যা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৪ কোটি ৮৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর