বন্যায় সিরাজগঞ্জের তাঁত শিল্পের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সুতা, বিম, ত্যানা, নলি ও মোটরসহ সব পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক তাঁত মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।এ অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোর সহায়তার দাবি জানিয়েছেন তারা।
জানা যায়, ভয়াবহ বন্যায় সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরের প্রায় সকল গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন তাঁত কারখানাগুলো তলিয়ে যাওয়ায় মালিকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জেলার প্রায় ১০ হাজার তাঁতের কাপড়সহ তাঁতের প্রধান উপকরণ সুতা-মাকড়-ত্যানা-মোটর ও নলি ও তাঁতগুলো নষ্ট হয়ে পড়েছে।
অর্থের অভাবে মেরামত করতে না পারায় তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। করোনা থেকে বন্যা টানা ৫ মাস আয়-রোজগার না থাকায় তাঁত শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেনG
সদর উপজেলার পুর্বমোহনপুর ও বাঐতারা গ্রামের তাঁতী নুরুল ইসলাম, ইয়াসিন ও কাওসারসহ অনেকে জানান, টানা দেড়মাস তাঁত কারখানাগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে ছিল। ফলে তাঁতের সাথে লাগানো কাপড়, সুতা, মোটর সবকিছু নষ্ট হয়ে পড়েছে। তাঁত প্রতি প্রায় ৪০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার সহায়তা না করলে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। তাঁত শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মদ জানান, বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত মালিকদের তালিকা তৈরি করে সহায়তা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হবে। সেখান থেকে সহায়তা পেলে তাঁতীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এছাড়াও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত তাঁতীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই