শরীয়তপুরে বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি। জেলার কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এছাড়া গ্রামীণ সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কসহ সাড়ে ৬০০ রাস্তাঘাট ভেঙে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বালুর বস্তা ও ইট ফেলে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছে সড়ক বিভাগ।
শরীয়তপুরের ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় দশটি স্থানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এ পানি কমার সাথে সাথে রাস্তাঘাটের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে ভোগান্তির শিকার হয়েছে এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। বন্যার কারণে শরীয়তপুরের কৃষিজমি ও মৎস্য খামার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এবারের বন্যায় ভাঙনের ফলে প্রায় ৬ শতাধিক পরিবার আশ্রয়ের সন্ধান করছে। এখনো মেলেনি তাদের আশ্রয়ের জায়গা। গত কয়েক বছরের ভাঙনের কারণে জেলার প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ গৃহহারা হয়ে অন্যের জায়গায় ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। ফলে ভাঙন কবলিতদের নির্দিষ্ট কোনো আশ্রয়ের স্থান নেই।
জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, এখন ভাঙন কবলিতদের স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তবে খাস জমি নির্ধারণ করে ভাঙন কবলিতদের মাঝে বরাদ্দের ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। বন্যায় ভাঙন ও করোনা মোকাবিলার জন্য সরকার নগদ টাকা, ঢেউ টিন, শুকনো খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবিব বলেন, পদ্মা নদীর স্রোত কিছুটা কমেছে। কিন্তু ভাঙন আতঙ্ক রয়ে গেছে। তবে জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক ফেলানোর কাজ অব্যাহত রয়েছে। এ বছর নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে নড়িয়া, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলার অন্তত ১৫টি স্থানে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই