দেশের পৌরসভার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা। ৯টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে পৌরসভাটি গঠিত। যানবাহন ও মানুষ চলাচলের জন্য সময়ের প্রয়োজনে গড়ে তোলা হয়েছে দীর্ঘ রাস্তাঘাট। কিন্তু সংস্কার বা মেরামতের অভাবে পৌরসভার সিংহভাগ রাস্তাঘাটই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। দিনের পর দিন পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
কিন্তু সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকার অজুহাত তুলে খানা-খন্দে ভরা রাস্তাঘাট মেরামতে বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে। পৌরবাসী বারবার রাস্তা মেরামতের দাবি জানিয়েও পৌর কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের কাছ থেকে সাড়া মেলাতে পারেনি।
মানুষের দুর্দশা লাঘবে এই খানা-খন্দ ভরাটে উদ্যোগ নিয়েছেন এক ব্যক্তি। শুক্রবার (১৪ আগস্ট) পৌর এলাকার ২ নং সিএন্ডবি বাজার থেকে কেওয়া বাজার পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কের এক কিলোমিটার ভাঙ্গা অংশের মেরামত কাজ করেন ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেন। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি আগের সড়কের সংস্কার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেন বলেন, সড়কের খানা-খন্দের কারণে মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির এ অবস্থা দেখে সংস্কারের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মেয়রের কাছে যাওয়া হয়। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। তাই ভুক্তভোগী পৌরবাসীর সুবিধার্থে নিজ উদ্যোগে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। এখন দেখা যাক, কতটুকু সামনে এগোনো যায়।
তিনি আরও বলেন, সড়কের বেহালদশা চেয়ে চেয়ে আর কতদিন দেখা যায়। কত দিনইবা দুর্ভোগ সহ্য করা যায়। এসব ভাবনা থেকে রাস্তা সংস্কারের কাজে নিজেকে নিয়োগ করেছি।
শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান জানান, এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পৌরসভা। সে অনুযায়ী রাস্তাঘাটও প্রচুর। অনেক রাস্তাঘাটের অবস্থা অত্যন্ত বাজে। সেগুলো মেরামত করা জরুরি। কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় রাস্তাগুলো সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ