ইউক্রেনে ইস্যুতে রাশিয়াকে শান্তি আলোচনার টেবিলে ফেরাতে মরিয়া আমেরিকা। আর সে লক্ষ্যে চাপ দিতেই রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রোসনেফট এবং লুকঅয়েলের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এর একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বুদাপেস্টে পরিকল্পিত বৈঠকটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেন।
ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, প্রতিবার যখনই আমি ভ্লাদিমিরের সঙ্গে কথা বলি, আমাদের ভালো আলোচনা হয় কিন্তু সেগুলো কোথাও পৌঁছায় না। কিছুতেই এগুলো কোথাও পৌঁছায় না। তিনি পুতিনের সমালোচনা করে বলেন, শান্তি স্থাপনের বিষয়ে তিনি গুরুত্ব সহকারে ভাবছেন না। ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে একটি বড় অগ্রগতি সম্ভব হবে।
ট্রাম্প বলেন, আমি অনুভব করলাম এটাই সময়। আমরা অনেক দিন অপেক্ষা করেছি," ট্রাম্প বলেন।
তিনি এই নিষেধাজ্ঞাকে বড় পদক্ষেপ উল্লেখ করেন। ট্রাম্প জানান, রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হলে নিষেধাজ্ঞাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করা যেতে পারে।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, পুতিনের এই অর্থহীন যুদ্ধ বন্ধ করতে অস্বীকার করার কারণেই নতুন নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন ছিল। তিনি উল্লেখ করেন যে এই তেল কোম্পানিগুলো ক্রেমলিনের যুদ্ধযন্ত্রে অর্থায়ন করে।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, এখনই সময় হত্যা বন্ধ করার এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির। মার্ক রুট এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, এটি পুতিনের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুুল