আফগানিস্তানকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্যান্য দেশকেও উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান সরকার। ক্ষমতাসীন দলটির মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্র যোগাযোগ করেছিল। তাদের উচিত-- আফগানিস্তানকে সহায়তা করতে অন্যান্য দেশের ওপরও প্রভাব খাটানো।
জবিউল্লাহ বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও আলোচনায় আঞ্চলিক দেশগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরাও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি বলেন, কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। তবে তারা চান, যুক্তরাষ্ট্র তার প্রভাব ব্যবহার করে আরও কিছু দেশকে আফগানদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে আহ্বান জানাক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি দাবি করেছেন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নিরসন তার জন্য একটি সহজ কাজ। তার এ কথার পর মুজাহিদের এ আহ্বান।
এ বিষয়ে বিশ্লেষক আব্দুল ওয়াহিদ হাকিমি বলেছেন, পাকিস্তানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। ইসলামাবাদের পররাষ্ট্রনীতি ওয়াশিংটনের অধীনে থাকে। সে কারণে, এ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।
এদিকে, আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে কোনো ‘গোপন সংযোজন’ থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের সঙ্গে হওয়া চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয়েছে। এর বাইরে কোনো চুক্তি হয়নি।
গত রবিবার কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। এক সপ্তাহ ধরে চলা সংঘর্ষের পর শনিবার দোহায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করে দুই দেশ।
সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেছেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নির্ভর করছে দেশটির তালেবান সরকার সীমান্তপথে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অনুপ্রবেশ ও হামলা বন্ধ করতে পারে কি না, তার ওপর।
সূত্র: তোলো নিউজ, রয়টার্স
বিডি-প্রতিদিন/এমই