অভ্যন্তরীণ সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে বাংলাদেশে পিয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে ভারত। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে দেশটি। ভারত থেকে পিয়াজ রফতানি বন্ধের পরদিন থেকে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার হাটবাজারগুলোতে পিয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
বুধবার সরেজমিনে বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে জানা যায়, একদিনের ব্যবধানে কুড়িগ্রামের জিয়া বাজার ও পৌরবাজারসহ ত্রিমোহণীতে পিয়াজের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা। প্রতি কেজি পিয়াজ গত একদিন আগেও বিক্রি হয় ৪৫ টাকায় তা বুধবার সকাল থেকে বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১১০টাকায়।
হঠাৎ করে ভারত পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় বিভিন্ন বন্দর দিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা পিয়াজের ট্রাক ভারতের ভেতরে আটকা পড়েছে বলে দাবি এখানকার ব্যবসায়ীদের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আজ-কালের মধ্যে হয়তো ভারতের পিয়াজ আসলে দাম কমতে পারে। এ অবস্থায় পিয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত মনিটরিং, অভিযান ও অন্য দেশ থেকে পিয়াজ আনার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার পৌরবাজারে পিয়াজ কিনতে আসা ক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, জিয়া বাজারে পিয়াজ কেজি প্রতি দেশি ৯০ টাকা যা এখানে ১০০ থেকে ১১০ টাকা বিক্রি করছে বিক্রেতারা। আবার ইন্ডিয়ান পিয়াজ সেখানে ৭৫ টাকা আর এখানে বিক্রি করছে ৯০ টাকায়। গতকালও দাম অনেক কম ছিল। আজ এভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পিয়াজের দাম।
অন্যদিকে, বিক্রেতা আবেদ হোসেন জানান, আমরা জিয়া বাজার থেকে কিনে আনি। চালান সাথে রয়েছে। কেজি প্রতি দশ টাকা লাভ করে বিক্রি করছি। তাছাড়া ঘাটতিও রয়েছে। এদিকে, এ পর্যন্ত পিয়াজের অতিরিক্ত দাম হাঁকায় এ জেলায় কোনো অভিযান পরিচালিত করেন নি স্থানীয় প্রশাসন। ফলে ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছে তাই দাম বাড়িয়ে পিয়াজ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এছাড়াও সম্প্রতি গত দুইদিন যাবত জেলায় ৩জন ডিলার টিসিবির মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি পিয়াজ বিক্রি শুরু করলেও দাম নিয়ন্ত্রণে আসছেনা। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, জেলায় ৫ জন ডিলার পাইকারি পিয়াজ কিনে এনে বাজারে বিক্রি করেন। তাদের সাথে দ্রুত বসে বাজার নিয়ন্ত্রণে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়াও বাজার মনিটরিং এ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ আবু জাফর