সাভারের আশুলিয়ায় অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে এক কিশোরকে মির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আশুলিয়া থানা যুবলীগ সদস্য আবুল হোসেন আপনকে (২৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে আজ শনিবার বিকালে যুবলীগের এই সদস্যকে আশুলিয়া যুবলীগের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
যুবলীগের এই নেতাকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার বলেন, কোন অপরাধীদের যায়গা যুবলীগে নেই। তাই তাকে তার অপরাধের কারণে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবলীগে থেকে কেউ অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও বলেন তিনি।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের কন্ডা এলাকা থেকে আপনকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
পুলিশ বলছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর সোমবার লালমনিরহাটের মিছির আলীর ছেলে সবুজ হোসেন (১৪) ও একই এলাকার জাহিদুল ইসলাম (১৫) অভিমান করে বাড়ি থেকে আশুলিয়ার মোজারমেইল এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। বোনের বাসা খুঁজে না পেয়ে মোজারমেইল এলাকার বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করা কালে তাদেরকে অপহরণ করে একটি চক্র। পরে তাদের আত্মীয়দের কাছে মুঠোফোনে বিকাশের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। এসময় মুক্তি পণের টাকা না পেয়ে অপহৃত দুইজনকে বেধড়ক মারধর করে অপহরণকারীরা। এতে সবুজ নামের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোর মারা যায় ও জাহিদুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। এসময় নিহত সবুজ ও আহত জাহিদুলকে একটি ভ্যানে ফেলে রেখে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। এঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আশুলিয়া থানা যুবলীগের সদস্য আবুল হোসেন আপনকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামরুজ্জামান বলেন, খুন হওয়ার পর আবুল হোসেনকে প্রধান আসামি করে কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিহতের বাবা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। আটক যুবলীগ নেতাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন