শারদ আবহ চারিদিকে থাকলেও বগুড়ার মণ্ডপ আর মন্দিরগুলোতে এবার তেমন ভিড় নেই। একে করোনাভাইরাসের প্রভাব এর সাথে যোগ হয়েছে নিম্নচাপে দিনভর বৃষ্টি। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ভক্তরা আরাধনায় আসছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবার বগুড়ায় ৬৩১টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে মন্দির ও মণ্ডপের বাহিরে কিছুকিছু স্থানে মেলাও বসেছে।
জানা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় এবার বগুড়ায় ৬৩১ টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ অনুদানও প্রদান করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে বগুড়া সদরে ১১৫টি, শাজাহানপুরে ৫৪টি, শিবগঞ্জে ৫৪টি, সোনাতলায় ৩৬টি, সারিয়াকান্দিতে ২০টি, ধুনটে ৩২টি, গাবতলীতে ৬০টি, শেরপুরে ৮০টি, নন্দীগ্রামে ৪৩টি, কাহালুতে ৩৮টি, আদমদীঘিতে ৬০টি এবং দুপচাঁচিয়ায় ৩৯টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলা শহরের মণ্ডপগুলোতে ভিড় কম থাকলেও উপজেলা পর্যায়ে ভিড় দেখা যায়। ভক্তরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের সাথে বৃষ্টি কারণে পরিবারের সবাই এক সাথে বের হতে পারছে না। সময় ভাগাভাগি করে বের হচ্ছে।বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীলিপ বাবু জানান, দফায় দফায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে তাদের মিটিং হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কেন্দ্রীয় ভাবে তাদের ২৬টি দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মণ্ডপে মণ্ডপে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিত করা, ভক্ত বা দর্শনার্থীদের মণ্ডপে বেশি সময় অতিবাহিত না করা, আলোকসজ্জা থেকে বিরত থাকা, কোন প্রকার মেলা না বসানো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না করা, কোন প্রকার সাউন্ড বক্স বা গান বাজনা না করা।
বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার) বলেন, করোনা দুর্যোগের মাঝে এই বছর শারদীয় দুর্গাপূজায় নিজের ও পরিবারের সবার সুরক্ষার কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক বলেন, সকলকে মাস্কের যথাযথ ব্যবহার এবং মন্দিরে দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর