রংপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযুক্ত মূলহোতা এএসআই রায়হানকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে পিবিআই।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামি এএসআই রায়হানুলকে পিবিআইয়ের গাড়ি থেকে নামিয়ে আদালতে আনা হয়।
পরে হারাগাছ সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আমলি আদালতে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। আদালত ৪ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন। এরপর সন্ধ্যায় আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনায় গত রবিবার থেকে পুলিশ হেফাজতে থাকলেও গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রায়হানকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর আগে গতকাল বুধবার আরও দুই আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার এএসআই রায়হান ওই ছাত্রীকে হারাগাছ থানা এলাকায় ক্যাদারের পুল নামক স্থানে ডা. শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়ার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে গত রবিবার ভাড়াটিয়া মেঘলা ওরফে আলেয়া ও তার সহযোগী সুরভি আক্তারের সহায়তায় লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ মেয়েটিকে আবারও ধর্ষণ করে।
ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ মেয়েটি ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় মেঘলা বেগমকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতে আরেক সহযোগী সুরভিকেও আটক করা হয়। আটক মেঘলা ও সুরভি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি না দেয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের জেল হাজাতে পাঠানো হয়।
এদিকে বুধবার বিকেলে বাবুল ও আজাদ আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদি হয়ে হারাগাছ থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়।
পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, আসামি রায়হান আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে অপারগতা প্রকাশ করছেন। তাই প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তার ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। বিচারক আগামী ৪ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর