শিক্ষকের স্বামীর ঘুষিতে নাক ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন এক শিক্ষক নেতা শামসুল হক ফরহাদ। তিনি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও করিমগঞ্জের চর দেহুন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
অভিযুক্ত হামলাকারী হলেন করিমগঞ্জের বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জেবুন্নেছা আক্তারের স্বামী তাজুল ইসলাম মারুফ। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে করিমগঞ্জে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষক নেতা শামসুল হক ফরহাদ জানান, ২০০৪ সালের দিকে তিনি করিমগঞ্জের বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। সে সময় ঢাকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ম্যানেজ করে জেবুন্নেছা আক্তার সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভ করেন। যা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কেউ অবগত নন। এ অবস্থায় সভাপতি হিসেবে তিনি তার বেতন ভাতায় স্বাক্ষর করেননি এবং এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেন। পরে বিভিন্ন সময়ে তদন্তে ভুয়া নিয়োগের বিষয় প্রমাণিত হয় বলে তিনি জানান। কিন্তু ২০০৬ সালে তিনি সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরে আসার পর শিক্ষক জেবুন্নেছা সবকিছু ঠিকঠাক করে নেন।
আজ মঙ্গলবার জেবুন্নেছা উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জন্য করিমগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। একই সময় শিক্ষক নেতা ফরহাদও তার কার্যালয়ে যান। তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জেবুন্নেছার ভুয়া নিয়োগের বিষয় অবগত করেন। এর কিছুক্ষণ পর জেবুন্নেছার স্বামী তাজুল ইসলাম মারুফ গিয়ে শিক্ষক নেতা ফরহাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ফরহাদের ওপর চড়াও হন মারুফ। ঘুষিতে তার নাক ফাটিয়ে দেন। পরে করিমগঞ্জ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাজুল ইসলাম মারুফ। তিনি জানান, তার স্ত্রী প্রায় ২০ বছর ধরে বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। কিন্তু ফরহাদ একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তদন্ত করিয়ে তাদেরকে হয়রানি করছেন। শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফরহাদই প্রথমে তার ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ঘুষিতে নয়, বরং পড়ে গিয়ে তার নাক ফেটেছে।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল হক জানান, শিক্ষক নেতারা থানায় গিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল