ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ‘তেলিখালি যুদ্ধ দিবস’ পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, তেলিখালী যুদ্ধে বীর শহীদদের সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া কামনা করা হয়।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য (এমপি) জুয়েল আরেং।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা কবিরুল ইসলাম বেগ, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুর রশিদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর আহমেদ, পৌর মেয়র মো. খায়রুল আলম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন ফকির, উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. মাসুদুর রহমান, মৎস্য কর্মকর্তা, মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, সমবায় কর্মকর্তা মো. কামরুল হুদা, একাডেমিক সুপারভাইজার মো. সাইফুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান এম সুরুজ মিয়া, শহীদ পরিবারের সদস্য ও আগত বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৩ নভেম্বর হালুয়াঘাটের তেলিখালী ক্যাম্প পাকিস্তানি সেনাদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করতে ভারতীয় মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা এক সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধে ১২৪ জন পাকিস্তানি সেনা ও তাদের শতাধিক সহযোগী রাজাকার আলবদরসহ ২৩৪ জনকে নিহত করে মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথবাহিনী।
এসময় শহীদ হন মিত্রবাহিনীর ২১ জন জওয়ান ও সাতজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তালিকাভুক্ত সাত শহীদ হচ্ছেন, জামালপুরের সরিষাবাড়ির শওকত আলী, ময়মনসিংহের ফুলপুরের হযরত আলী, হালুয়াঘাটের আক্তার হোসেন, ময়মনসিংহ সদরের আলাউদ্দিন, শাহজাহান, শ্রী রঞ্জিত গুপ্ত এবং সিপাহী ওয়াজিউল্লাসহ নাম না জানা অনেকেই। এই বীর শহীদদের স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিফলক। ক্যাম্পের পেছনে শনাক্ত করা হয়েছে সাত শহীদের গণকবর।
ময়মনসিংহ সীমান্তে এটি প্রথম বিজয় ছিল। এরপর থেকেই ৩ নভেম্বর ‘ঐতিহাসিক তেলিখালী যুদ্ধ দিবসকে’ সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো।
বিডি প্রতিদিন/এমআই