পটুয়াখালীতে দুই লঞ্চ স্টাফদের তোপের মুখে লাঞ্ছিত হয়েছেন বিআইডব্লিইটিএ’র সহকারী পরিচালক ও নদী বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান। এ ঘটনায় নদী বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে দুই লঞ্চের ৪০ জন স্টাফের বিরুদ্ধে সদর থানায় জিডি করেছেন।
লঞ্চে যাত্রী ওঠানোর নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সোমবার (২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পটুয়াখালী-ঢাকা নৌরুটের ডবল ডেকার এমভি আওলাদ-৭ ও এমভি সত্তার খান-১ লে র স্টাফদের হাতে লাঞ্ছিত হন তিনি।
বিআইডব্লিইটিএ’র সহকারী পরিচালক ও নদী বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান জানান, রোটেশন পদ্ধতি ভেঙ্গে যাওয়ায় সোমবার পটুয়াখালী থেকে পাঁচটি লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। বিকেলের দিকে লঞ্চ স্টাফরা যাত্রীদের হাত ধরে টানাহেচরা শুরু করে। এতে যাত্রীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে থাকে। বিষয়টি জানতে পেয়ে এ ধরণের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য লঞ্চ স্টাফদের নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে তোপের মুখে পড়েন বিআইডব্লিইটিএ’র ওই কর্মকর্তা এবং তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সামনে এসে আরও বেশি করে চিৎকার ও যাত্রীদের টানাহেচরা শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি ফাঁড়ি পুলিশ ইনচার্জকে ব্যবস্থা নিতে বলতে এমভি আওলাদ-৭ ও এমভি সত্তার খান-১ লঞ্চ স্টাফরা ওই কর্মকর্তাকে ঘিরে ধরে। অবস্থার অবনতি ঘটলে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়। এ ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক এবং বিআইডব্লিইটিএ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঘটনা উল্লেখ করে সদর থানায় জিডি করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি আখতার মোর্শেদ বলেন, লঞ্চ স্টাফদের নামে নদী বন্দরের কর্মকর্তা সাধারণ ডায়েরী করেছেন। পরবর্তীতে লঞ্চ ঘাটে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা না ঘটে এবং যাত্রীদের সাথে কোন রকম অসৌজন্যমূলক আচরন স্টাফরা না করতে পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। আমরা সেখানে আছি। বিষয়টি দেখছি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ