মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ওয়ার্ডে তালা ঝুলিয়ে সাধারণ রোগীদের সাথে রেখে করোনা রুগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনরা।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর এম সেলিম শাহনেওয়াজের পিতা আব্দুস সামাদ ও মাতা সুরাইয়া বেগমকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাধারণ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তাদের উভয়ের মধ্যে করোনা উপসর্গ থাকায় পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়। গত গতকাল তাদের করোনা পজিটিভ আসে।
কিন্তু তাদের করোনা ওয়ার্ডে না রেখে হাসপাতালের ৪র্থ তলায় ২নং কেবিনে সাধারণ রোগীদের সাথে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। একই ডাক্তার ও নার্স তাদের ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। এতে করে হাসপাতালে অন্যান্য ডাক্তার, নার্স, সাধারণ রোগী ও রোগীর স্বজনরা করোনা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন বলে অভিযোগ গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ও নার্সদের।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল আলম জানান, সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। করোনা রিপোর্ট আসার আগে থেকেই উনাদের ওখানে ভর্তি করে রাখা হয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি উনারা ওখানে থাকবেন। স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে কারোর করোনা হতে পারে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিকিৎসা দিচ্ছি।
মেহেরপুরের সিভিল সার্জন নাসির উদ্দিন জানান, গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনে পৃথক করোনা ওয়ার্ড রয়েছে। এভাবে চিকিৎসা দেওয়ার কথা না। তারপরও বিষয়টি আমি দেখবো।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর