বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালীন উচ্চফলনশীন জাতের ব্রি-৮৭ ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেলে বরিশালের রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে ব্রি-৮৭ এর প্রদর্শনী খামারে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট (এটিআই) আয়োজিত মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আফতাব উদ্দিন।
কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ গোলাম মোহাম্মদ ইদ্রিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া।
এটিআই প্রশিক্ষক সোমা রানী দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. বাবুল আক্তার, কৃষক মো. কবির উদ্দিন হাওলাদার, এটিআই’র উধর্বতন প্রশিক্ষক যুথিকা পাল, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএসআরআই) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ, বাবুগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা শাহ্ মো. আরিফুল ইসলাম ও কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে শতাধিক কৃষক-কৃষানী অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আফতাব উদ্দিন বলেন, কৃষি বিভাগ দেশকে জীবন্ত রেখেছে। সরকারের সহযোগীতা হাত উন্মুক্ত। বীজ-সারের কোনো সংকট নেই। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তাই কৃষক-কৃষিবিদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ধান সহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে। তাহলেই দেশ কৃষিতে স্ব-নির্ভর সোনার বাংলা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে প্রধান অতিথি রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউটের প্রদর্শনী খামারে উৎপাদিত উচ্চ ফলনশীল ব্রি-৮৭ ধান কর্তন উদ্বোধন করেন।
ব্রি-৮৭’র ধানের জীবনকাল ১২৫ থেকে ১৩০ দিন। এই ধান হেক্টর প্রতি গড় ফলন প্রায় সাড়ে ৬ মেট্টিক টন বলে জানিয়েছেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার