সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় পারিবারিক রাস্তার বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের সংঘর্ষে ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড়দল দক্ষিণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউপি সদস্য দেব্রত মণ্ডল, গ্রামপুলিশ ফনিন্দ্র নাথ মণ্ডল, তার শ্বশুর সুলভ সরকার, প্রতিবেশী বিশ্বনাথ মণ্ডল ও অচিন্ত মণ্ডলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী ও আহত ইউপি সদস দেব্রত মণ্ডল জানায়, রবিবার বেলা ১১টার দিকে বড়দল দক্ষিণ পাড়ার হরেনশীল, স্বপনশীলরা ট্রলিতে করে ইট নিয়ে প্রতিবেশী বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ ফনিন্দ্র নাথ মণ্ডলের বাড়ির পারিবারিক রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
এ সময় ফনিন্দ্র নাথ বাধা দেয়। নিজেদের বাড়ির রাস্তা রেখে কেন তাদের ঘরোয়া রাস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হতে থাকে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ইউপি সদস্য দেব্রত মণ্ডল। পরিস্থিতি শান্ত করে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
পরে ফনিন্দ্র নাথ মণ্ডলের বাড়ির পুকুর ধারে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলছিলেন ইউপি সদস্য দেব্রত মণ্ডল। হঠাৎ প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় তাদের ওপর। ফলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউপি সদস্য দেব্রত মণ্ডলের মাথায় পাঁচটি সেলাই ও গ্রাম পুলিশ ফনিন্দ্র নাথ মণ্ডলের মাথায় ৩টি সেলাই ও তার শ্বশুর সুলভ সরকারের পায়ে পাঁচটি সেলাই দিতে হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আশাশুনি থানার ওসি মো. গোলাম কবির বলেন, গ্রাম পুলিশ ফনিন্দ্র নাথের পক্ষ থেকে ১৫-১৬ জনকে আসামি করে একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই