শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে আগুনের উত্তাপ নিতে গিয়ে ১৫ দিনের মেয়ে সন্তান রেখে চলে গেলেন গৃহবধূ লিমা বেগম (৩২)।
মঙ্গলবার সকালে রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মৃত গৃহবধূর স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর হোসেন। বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সেতুলপুর গ্রামে। আগুনের উত্তাপ নিতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে আরো ১৪ নারী শিশু বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ও স্বজনরা জানান, রবিবার সকালে প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে লিমা নামে এক গৃহবধূর পরনের কাপড়ে আগুন লাগলে তা শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। মারাত্মক দগ্ধ অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুইদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সে মারা যায়।
গৃহবধূর মা গোলাপি বেগম জানান মাত্র ১৫ দিন আগে তার মেয়ে একটি সন্তান প্রসব করেছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে কাহিল হয়ে শীত নিবারণের জন্য খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে অসাবধানতা বশত তার মেক্সিতে আগুন ধরে যায়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়।
বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আব্দুল হামিদ পলাশ জানান, তার শরীরের শ্বাস নালীসহ ৬০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিলো। বর্তমানে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ আরো ১৪ জন রোগী চিকিৎসাধিন আছে। এর মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন