মা-বাবা আত্মীয় স্বজনসহ তিনদিনের নবজাতকের প্রাণ কেড়ে নিল বাস। রবিবার দুপুরে নবজাতককে নিয়ে স্বজনসহ বাড়ি ফেরার পথে এই দুর্ঘটনার শিকার হন ফারুক মিয়া। নেত্রকোনা ময়মনসিংহ সড়কের তারাকান্দা থানার ফুলপুর গাছতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনায় নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের ফেচুয়ালেঞ্জি গ্রামে চলছে এই শোকের মাতম।
নিহতরা হলেন, আগিয়া ইউনিয়নের ফেচুয়ালেঞ্জি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন (৪০), ভাই মাওলানা ফারুক আহামেদ (৩০), ফারুকের স্ত্রী মাসুমা আক্তার (২২), নবজাতক ছেলে শিশু, বোন জুলেখা বেগম (২২) বড় ভাই আজিম উদ্দিনের স্ত্রী জোৎস্না বেগম (৩৫) ও ময়মনসিংহ সদরের চর লক্ষিপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে সিএনজি চালক রাকিবুল হাসান সোহাগ (২৯)।
স্বজনরা জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সিজার করতে ময়মনসিংহ যায় ফারুক ও তার পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার শিশু পুত্রের জন্ম নিলে ঠান্ডাজনিত কারণে শিশুর চিকিৎসার জন্য আরো দুদিন থাকেন। পরে শনিবার রাতেই হাসপাতাল থেকে ছাড় দিলেও কুয়াশার ভয়ে রাতে আর আসেননি। পরবর্তীতে রবিবার সকালে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে দুপুরের দিকে ময়মনসিংহ থেকে সিএনজি যোগে নিজ বাড়িতে আসার পথে এমন সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তারা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ বেপরোয়া চালকদের গাফিলতির কারণেই এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই মহাসড়কে বেপরোয়া গাড়ি চলাচল বন্ধে কঠোর আইন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা। এদিকে ঘাতক বাসটিকে আটক করতে পারলেও চালক পলাতক রয়েছে।
সাবকে আগিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও নিহতদের স্বজন আজিজুর রহমান জানান, কয়েকদিন আগেও এই সড়কে তাদের এক আত্মীয় নিহত হয়েছেন। কয়েকদিন পরপরই অদক্ষ্য সিএনজি চালক এবং বেপরোয়া ট্রাক বাসের জন্য দুর্ঘটনা ঘটছে। চালকরা নেশাগ্রস্থ থেকে গাড়ি চালায়। এসব ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানান তিনি। পাশাপশি এই মর্মান্তিক ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তাসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক কাজী মো. আবদুর রহমান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল