নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌর শহরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকসহ অন্তত আট জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দ্রুত এক পক্ষের মামলায় পুলিশ আহত আবদুর রাজ্জাকসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে।
আহতরা হচ্ছেন, চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, তার পক্ষের হোরণ, রাসেল, মো. রাব্বি, কালাম ও ফয়সালসহ আট জন। চেয়ারম্যান রাজ্জাক চরএলাহী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক উপজেলার বসুরহাট পৌর শহরস্থ তার ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে যুবলীগের নেতাকর্মীরাসহ বসুরহাটে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যোগ দিচ্ছে যাচ্ছিলেন। পথে হাসপাতাল এলাকায় আসলে আগে-পরে যাওয়া নিয়ে চরএলাহী আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাব উদ্দিন ও সেক্রেটারি গণি লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাহাব উদ্দিন ও গণির লোকজন চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের উপর হামলা করে।
স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শাহাব উদ্দিন ও গণির লোকজন লোহার রডসহ লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালালে চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা ওই ক্লিনিকের গ্লাস ভাংচুর করে সেখানে গিয়ে চেয়ারম্যান রাজ্জাকের মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকেসহ তার লোকজনকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।
চেয়ারম্যান রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন, কোনো প্রকার উসকানি ছাড়াই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সেক্রেটারির নেতেৃত্বে তাদের লোকজন তার মিছিলে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে হত্যা করার চেষ্টা করলে তিনি পালিয়ে একটি ক্লিনিকে গিয়েও বাঁচতে পারেনি। সেখানে গিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ ঘটনায় তার ৮-১০ জন লোক আহত হয়েছে। এর মধ্যে তিনিসহ তিনজনের মাথা ফেটে যায়।
তিনি জানান, হাসপাতালে ব্যান্ডেজ শেষে তিনি থানায় গেলে পুলিশ তাকে থানায় বসিয়ে রাখে এবং পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি গণি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে।
এ বিষয়ে জানতে চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গণির মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তার মুঠোফোনটি অন্য এক ব্যক্তি রিসিভ করে জানান, গণি থানায় রয়েছে।
জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরে আবদুল গণি চেয়ারম্যান রাজ্জাককে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা করেছে। এ ঘটনায় এক পক্ষের মামলায় পুলিশ আহত আবদুর রাজ্জাকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, চেয়ারম্যানকে তারা গ্রেফতার করেনি। লোকজন চেয়ারম্যানকে আটক করে থানায় দিয়ে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন