ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এখনও জনবল সংকট রয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও ৫০ শয্যার হাসপাতাল চলছে ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে। অত্যাধুনিক ওটি(অপারেশন থিয়েটার) থাকলেও কনসালটেন্ট ও এনেসথেসিয়া চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন বন্ধ রয়েছে। আল্ট্রাসোনোগ্রাম মেশিন নাই-সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট রয়েছে। এমনটাই জানালেন ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. নুর নেওয়াজ।
এদিকে, বিভিন্ন সমস্যা থাকায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের মানুষ প্রত্যাশিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ হাসপাতালের অবকাঠামো বাড়লেও রোগীর বেডে লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া।
আল্ট্রাসোনোগ্রাম মেশিন নাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কতিপয় স্থানীয় দালালরা রোগীদের বাইরের ক্লিনিক থেকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে উৎসাহিত করছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, আল্ট্রাসোনোগ্রাম মেশিন নাই। কনসালটেন্ট-এর ৬টি পদের মধ্যে মাত্র একজন গাইনি কনসালটেন্ট রয়েছে। আধুনিক ওটি আছে কিন্তু এনথেসিয়া চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন বন্ধ রয়েছে। সেবিকার ৪ জন নাই, চিকিৎসক ৯ জনের স্থলে ৩ জন নাই। আর চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট চরমে। প্রতিদিন ইনডোর ও আউটডোর মিলে সাড়ে ৩শ থেকে ৪শ রোগী আসে। এতে হিমসিম পোহাতে হয় কর্তৃপক্ষকে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. নূর নেওয়াজ জানান, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও ৩১ শয্যার জনবল কাঠামো দিয়ে চলছে। এখন ৫০ শযার হাসপাতালের অনুমোদন হয়নি। আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। জনবল সংকটের বিষয়টিও নিয়মিত স্বাস্থ্য বিভাগকে অবগত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন ইনডোর ও আউটডোর মিলে সাড়ে ৩শ থেকে ৪শ রোগী আসে। সমস্যার পরেও রোগীদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট রয়েছে। কনসালটেন্ট ও এনথেসিয়া চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন বন্ধ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার