বগুড়ার শিবগঞ্জে শারীরিক প্রতিবন্ধী বিধবা নারী (২৫) ধর্ষণের শিকার হয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ঘর জামাই বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বাদল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাশাবাড়ি গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে করে ঘর জামাই থাকতেন।
বুধবার রাতে শিবগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারীর মা। মামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্যর নাম জাহিদুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। অন্য দুইজনের নাম গ্রেফতারের পর জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর মা বলেন, ‘আমি থানায় অভিযোগ দেওয়া পর থেকেই ইউপি সদস্য জাহিদুল ও তার লোকজন আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
ঘটনার এতদিন পরে মামলা করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে কিছু বললে, আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকিও দিয়েছিল বাদল।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী ওই বিধবা নারীর সাত বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সাড়ে ৫ বছরের মধ্যে তাদের দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। দেড় বছর আগে হঠাৎ করেই তার স্বামী মারা যান। এরপর থেকেই ওই নারী দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামীর ঘরেই অবস্থান করছিলেন।
এদিকে একই এলাকায় ঘর জামাই ছিলেন বাদল মিয়া। কাজের কারণে স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় একাই থাকতেন বাদল। মাঝে মধ্যে তিনি ওই বিধবা নারীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এই সুযোগে বাদল ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রায়ই ধর্ষণ করতো ওই নারীকে। লাগাতার ধর্ষণের ফলে প্রতিবন্ধী নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কৌশলে পালিয়ে যায় বাদল। পরে প্রতিবন্ধীর মা বাদী হয়ে ইউপি সদস্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান বলেন, মামলার পরপরই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই