বগুড়ায় নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণ এবং অপর কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। ধর্ষণ কাজে সহযোগিতার অভিযোগে ডিজে পার্টির আয়োজক ওই নারীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার অপর দু’জনও ডিজে পার্টির সহ-আয়োজক হিসেবে পরিচিত।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় শহরের দত্তবাড়ি এবং রাত দেড়টার দিকে গাবতলী উপজেলার পাঁচ মাইল এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাইবান্ধার থানাপাড়া এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে রাজু আহমেদ (২৭), গাবতলী উপজেলার নিশিন্দারা আকন্দপাড়ার আনিছার রহমানের ছেলে নয়ন মিয়া শাহ (৩০) ও তাদের সহযোগী সারিয়াকান্দির ইন্দুপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর স্ত্রী নিসা খাতুন নেহা (১৯)।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বয়স ১৩ বছর এবং যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে তার বয়স ১৪ বছর। তারা যথাক্রমে ৫ম ও ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।
বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, নিসা খাতুন বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ডিজে পার্টির আয়োজন করে। তার বাবার বাড়ি শহরের মালগ্রাম এলাকায় হলেও সে শহরের দত্তবাড়ি এলাকার বেনীকুন্ডু লেনের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। ডিজে পার্টি আয়োজনে রাজু তাকে সহযোগিতা করে থাকে। সম্প্রতি তারা নয়ন মিয়াকেও সঙ্গে নেয়।
গত ৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাজু ও নয়ন শহরের দত্তবাড়ি এলাকায় নেহার ভাড়া বাসায় যায়। এরপর রাজু কৌশলে ওই দুই কিশোরীকে ওই বাসায় ডেকে নেয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজু ও নয়ন দুই কিশোরীকে দু’টি কক্ষে নিয়ে যায়। রাজু তার কক্ষে নেওয়া কিশোরীকে রাতভর একাধিকবার ধর্ষণ করে। তবে অপর কক্ষে থাকা নয়ন অন্য কিশোরীর শ্লীলতাহানিসহ ধর্ষণের চেষ্টা করে। এরপর ওই দুই কিশোরী সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির কথা নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের জানায়। এরপর এক কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, মামলার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে তারা দত্তবাড়ি এলায় নেহার বাসায় অভিযান চালিয়ে সেখান তাকে ও রাজুকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গাবতলী উপজেলার পাঁচমাইল এলাকার একটি বাড়িতে থেকে নয়নকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘দুই কিশোরীরই শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন