পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর মোঃ ফাইদ হাসান সিফাত (১৯) নামের এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে র্যাব-১৩ এর সদস্যরা। নিহত সিফাত ওই এলাকার সফিকুল ইসলামের ছেলে এবং দিনাজপুর আদর্শ কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে প্রধান আসামি সিফাদের চাচাতো ভাই মতিয়ার রহমানসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব।
র্যাব সূত্র জানিয়েছে, গত ৪ জানুয়ারি বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর মোঃ ফাইদ হাসান সিফাত নিখোঁজ হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজের পর দিন ৫ জানুয়ারি সিফাতের ফোন থেকে অপহরণকারীরা ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে সিফাতকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। ওই দিনই সিফাতের বাবা আটোয়ারী থানায় সন্তানের নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়ে সাধারণ ডায়রি করে। পরদিন আবার সিফাতের ফোন থেকে সিফাতের পরিবারকে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। সিফাতের বাবা ৮ হাজার টাকা বিকাশও করে। সন্তানকে খুঁজে পাওয়ার জন্য ৮ জানুয়ারি র্যাব-১৩ এর (নীলফামারী) কাছে সহায়তা চায় সিফাতের বাবা। ১৮ ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর বাড়ির দুইশ' গজ দূরে একটি কৃষি জমিতে পুতে রাখা সিফাতের মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব।
এ সময় এক দ্রুত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৩ রংপুরের অধিনায়ক কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, গত ৪ তারিখ রাত ৮টায় সিফাতকে ব্যাটমিন্টন খেলার জন্য বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে যায় প্রধান আসামি মতিউর। অনুসন্ধানে সিফাতের বাবা মায়ের তথ্যের ভিত্তিতে মতিউরকে আটক করে র্যাব। পরে মতিউরের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সিফাতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মতিউরের বাবা মোখলেসুর রহমান, মা ময়না আক্তার এবং চাচাতো ভাই লিটনকে আটক করে আটোয়ারী থানায় সোপর্দ করে র্যাব।
আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইজারউদ্দিন জানান, শনিবার বিকেলে সিফাতের বাবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আটককৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সিফাতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
র্যাব ১৩ জানায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ও মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে মোঃ ফাইদ হাসান সিফাতকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন