২১ জানুয়ারি, ২০২১ ১৮:১১

হিলিতে যানজটে ব্যাহত আমদানি-রপ্তানি, ভোগান্তি চরমে

দিনাজপুর প্রতিনিধি

হিলিতে যানজটে ব্যাহত আমদানি-রপ্তানি, ভোগান্তি চরমে

দিনাজুপরের হিলি পৌর এলাকায় প্রতিদিনই তীব্র যানজট। হিলি সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে অপ্রশস্থ সড়কের কারণে স্থলবন্দর হিলিতে এ যানজট। 

এছাড়াও হিলিতে বাংলা ট্রাকের কোনো টার্মিনাল নেই। সেই সঙ্গে বাইপাস কোনো সড়ক নেই, যে পথ দিয়ে অন্য যানবাহনগুলো চলাচল করতে পারে। ফলে যানজট নিত্যদিনই থাকে। যানজটের কারণে সঠিক সময়ে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বন্দরে প্রবেশ করতে পারছে না, ফলে ব্যাহত হয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। 

যানজটের কারণে একদিকে যেমন আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। অথচ রাস্তা সম্প্রসারণ ও যানজট নিরসন করা গেলে বাড়বে আমদানি-রপ্তানি, সেই সঙ্গে বাড়বে সরকারের রাজস্ব বলছেন ব্যবসায়ী ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, আগে প্রতিদিন গড়ে ১২০-১৩০টি ট্রাক বিভিন্ন পণ্য নিয়ে হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করতো। এখন বন্দরে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাক আসা-যাওয়া করছে। এসব ট্রাক পাথর, পিয়াজ, খৈলসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আসা-যাওয়া করছে। এর ফলে সড়কে চাপ বেড়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, একমুখী ও সংকীর্ণ রাস্তা, লেভেল ক্রসিং সকাল থেকে ১১টা পর্যন্ত স্থলবন্দর থেকে ভারতে খালি ট্রাক প্রবেশ, আর ১১টার পরে শুরু হয় এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। যেখানে অন্য বন্দরগুলোতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে। হিলি স্থলবন্দরের চারমাথা মোড়ে সবসময় যানজট লেগে থাকে। সড়কগুলোও অপ্রশস্থ। একই রাস্তা দিয়ে মানুষ ও সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে। আবার একই পথ দিয়ে হিলি-দিনাজপুর, হিলি-বগুড়া, হিলি-জয়পুরহাট সড়কের বাসও চলাচল করছে। এতে যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগের পড়েন স্থানীয়রা। এছাড়া কোনও রোগীকে এ সড়ক দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও পড়তে হয় ভোগান্তিতে। 

হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর-রশীদ হারুন জানান, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে এরইমধ্যে তারা পরিকল্পনা করছে। রাস্তা বর্ধিতকরণের জায়গা অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় আছে। সড়কটি বর্ধিত হলে আশা করি যানজট নিরসন হবে। তবে স্থলেবন্দরের প্রধান সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা হলেও অন্যান্য সড়কগুলো মেরামত করলে সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান তিনি। 

তিনি আরও বলেন, দ্রুত সময়ে হিলি স্থলবন্দরের রাস্তাটি সম্প্রসারণ ও একটি ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করে দিলে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হবে। একটি ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি একটি বাইপাস সড়ক হলে যানজট আর থাকবে না।

উল্লেখ্য, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। তবে ২০০৭ সালের ২৬ নভেম্বর এটি শুল্ক স্টেশন থেকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর