২১ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:২৯

নীলফামারীতে পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন

নীলফামারীতে কিশোরী ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও অপর একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। অপর দিকে পুত্রবধূকে ধর্ষণের দায়ে শ্বশুরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারী নারী ও শিশু দমন নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২ এর বিচারকগণ এ সাজা দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সাতজান সাইফুন এলাকার আব্দুল গনির মেয়ে মৌসুমী (১৪)। পরের দিন সকালে বাড়ির পাশে বুড়িতিস্তা নদীর পাড়ের কাশবনে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ঐদিনই অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে ডিমলা থানায় মামলা দায়ের করেন মৌসুমীর বাবা আব্দুল গনি। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে প্রতিবেশী ইয়াসিন আলীর ছেলে মকবুল হোসেন (৪০) সহ ৬ নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এবং মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ দুপুরে নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহাবুবুর রহমান মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও অপর অভিযুক্ত হালিমুর রহমানকে (২৮) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। একই সাথে মামলার বাকি চার আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট আল মাসুদ আলাল জানান, ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাতে আব্দুল গনির মেয়ে মৌসুমি নিখোঁজ হয়। পরদিন সকালে বুড়িতিস্তা নদীর ধারে মেয়ের লাশের সন্ধান পান। 

এ ব্যাপারে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করলে চার আসামির মধ্যে মকবুলের মৃত্যুদণ্ড ও হালিমুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মাহমুদুর রহমান। 

অপর মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বাড়িতে একা পেয়ে পুত্রবধূ রাজিয়া সুলতানাকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর আজগার আলী। এ ঘটনায় ১৩ অক্টোবর শ্বশুর আজগার আলীকে আসামি করে সৈয়দপুর থানায় মামলা দায়ের করেন পুত্রবধূ রাজিয়া। মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আহসান তারেক অভিযুক্ত শ্বশুর আজগার আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

এদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট রামেন্দ্র বর্ধণ বাপ্পী জানান, ধর্ষণের অভিযোগে ২০০৫ সালের ১৩ অক্টোবর শ্বশুর আজগর আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ছেলে মোকছেদুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা।

মামলায় স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক আহসান তারেক। দণ্ডিত ব্যক্তি জামিনের পর থেকে পলাতক রয়েছেন বলে জানান তিনি। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন  

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর