ভোলার লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরাদ হোসেন মুরাদের বিরুদ্ধে এক বিচার প্রার্থীকে বাড়ি থেকে চৌকিদার দিয়ে ডেকে নিয়ে জনসম্মুখে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রবিবার বিকালে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতনের শিকার আবুল কালাম এবং তার দুই মেয়ে এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবুল কালাম জানান, তার সাথে দাইমুদ্দিন নামে তার এক আত্মীয়ের জমির বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ আপন ভাই মামুনকে দায়িত্ব দেন। মামুন কাগজপত্র দেখে রায় দেন আবুল কালাম ১ একর ২ শতাংশ জমি পাবেন। ওই জমি মেপে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য খরচ বাবদ এবং ঝামেলা নিষ্পত্তি করে দেয়ার কথা বলে ১৯ জানুয়ারি আবুল কালামের কাছে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা দাবি করেন মামুন।
আবুল কালাম ওই টাকা দিতে অস্বীকার করলে পরদিন চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ চৌকিদার দিয়ে ডেকে নিয়ে জনসম্মুখে আবুল কালামকে চড়থাপ্পর ও কিলঘুসি মেরে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে টাকার জন্য চৌকিদার দিয়ে তাকে একটি দোকান ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়।
পরে আবুল কালমের ছেলে ঢাকা থেকে ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে আবুল কালামকে উদ্ধার করে। আবুল কালাম অভিযোগ করেন, প্রতি শালিসে চেয়ারম্যানের ভাইকে ৫ হাজার টাকা সম্মানি দিতে হয়। তা ছাড়া চেয়ারম্যান ও তার ভাই শালিস বিচারের নামে মানুষের কাছে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন।
এ ঘটনায় আবুল কালামের মেয়েরা লালমোহন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে ধরলে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
আবুল কালাম আরও অভিযোগ করেন, পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে লালমোহন থানার ওসি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মো. মুরাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ গিয়ে আবুল কালামকে উদ্ধার করেছে। ওসি আরও জানান, আবুল কালামের কাছে চেয়ারম্যান সাহেব ৩৫ হাজার টাকা পাবেন, তাই আবুল কালামকে আটকে রেখেছিলেন।
এদিকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ জানান, আবুল কালামের অভিযোগ সত্য নয়। উদ্দেশ্যমূলক ভাবে তাকে হেয় করার জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর