বরগুনার যুবলীগ কর্মী শামীম ইমতিয়াজ ওরফে বাদশা হত্যা মামলায় বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বুড়িরচর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইয়াসির আরাফাত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সিদ্দিকুর রহমান সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলিগের সভাপতি।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) গত ৭ জানুয়ারি আলোচিত এই হত্যা মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মহসিন সরদার, জাকারিয়া, আল-আমিন গাজী, রাকিব সরদার, সাবু সরদার, সাবু ফকির, মতলেব সরদার, আল-আমিন আকন, মাহবুব সরদার, নাসরিন বেগম, সেয়ারা বেগম, আল আমিন গাজী ও মাহতাব সরদার। নিহত বাদশা বুড়িরচর ইউনিয়নের সোহরাব মৃধার ছেলে। তিনি উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা আলোচিত যুবলীগ কর্মী বাদশা হত্যা মামলার পলাতক ৬ আসামি বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এছাড়া দুই আসামি স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি রাত আটটার দিকে শামীম ইমতিয়াজ বাদশাকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের কামড়াবাদ এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ৯ জানুয়ারি নিহত বাদশার বাবা সোহরাব মৃধা ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত বাদশার বাবা মামলার বাদী সোহরাব মৃধা বলেন, আমার ছেলে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের নামে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে আমি সন্তান হত্যার সুবিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমি হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। এখন কিছুটা আশার আলো দেখছি। মনে হচ্ছে সন্তান হত্যার সুবিচার পাবো। তবে আসামিদের স্বজনরা আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন