ফরিদপুরের সদরপুরে অপহরণের ৫ দিন পর চার বছর বয়সী রোমান বেপারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে সদরপুরের আড়িয়াল খাঁ নদের পাশের ধানখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সদরপুর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশের ধারনা অপহরণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশটি ধানখেতে ফেলে রাখে দুবৃর্ত্তরা।
স্থানীয়রা জানান, সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের দুলাল মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের রহিম বেপারী ঢাকায় দর্জির কাজ করে। গত বৃহস্পতিবার রহিম বেপারীর শাশুড়ির মৃত্যু হলে সে তার পরিবার নিয়ে সদরপুরের নিজগ্রামে আসে। পরে রহিম বেপারী স্ত্রী, সন্তান নিয়ে শ্বশুড় বাড়িতে যায়। শুক্রবার বিকেলে কয়েক মহিলা একটি অটোবাইকে করে রোমানকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। শিশু রোমানের স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়েও তার কোন সন্ধান পাননি। মঙ্গলবার সকালে আড়িয়াল খাঁ নদের তীরবর্তী ধানখেতে শিশুর একটি লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পরে নিহতের স্বজনরা লাশটি রোমানের বলে সনাক্ত করে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে শিশু রোমানকে হারিয়ে তার বাবা-মা ও স্বজনদের আহাজারীতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিশুটির বাবা রহিম বেপারী জানান, গত শুক্রবার বিকেলে তার শিশু পুত্রকে চিপস দেবার কথা বলে জনৈক মনোয়ারা বেগম, আনোয়ারা বেগম ও নাসিমা বেগম নামের তিন নারী একটি অটোবাইকে করে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে জানায়। শিশু পুত্রকে হারিয়ে একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছেন রহিম বেপারী। তিনি বলেন, তার শিশু পুত্রকে যারা নৃসংশভাবে খুন করেছে তাদের ফাঁসি চাই আমি।
এ বিষয়ে সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়। সদরপুর থানার ওসি জানান, শিশু রোমানের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল