শিরোনাম
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২২:২৭

একই দোকানে দ্বিতীয়বার স্বর্ণালঙ্কার চুরি করতে এসে ধরা নারী মেম্বার

কুমিল্লা প্রতিনিধি

একই দোকানে দ্বিতীয়বার স্বর্ণালঙ্কার চুরি করতে এসে ধরা নারী মেম্বার

একটি ইউনিয়নের নারী সদস্যের নেতৃত্বে প্রথমবার স্বর্ণ চুরি করে পার পেয়ে গেলেও দ্বিতীয়বার ধরা খেলেন তিন সদস্যের চক্রটি। দোকান মালিকের সন্দেহ হওয়ায় তাদের আটক করে তল্লাশি চালাতে বের হয়ে আসে স্বর্ণালঙ্কার। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে একমাস আগের চুরির সাথেও তাদের জড়িত থাকাটি নিশ্চিত হয় দোকানদার।

এমন ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা সদরে আপন অর্নামেন্টস নামক একটি জুয়েলারি দোকানে। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান সংরক্ষিত নারী সদস্য মোসা. আরজ খাতুন (৫২), একই গ্রামের ফররুখ আহম্মদের ছেলে শাহাদত হোসেন (২০) ও কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকার রাসেল মিয়ার স্ত্রী পাখি বেগম (৩৫)। 


এ ঘটনায় দোকান মালিক জয়নাল আবেদীন আপন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করলে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলা সদরের আপন অর্নামেন্টস নামক জুয়েলারি দোকান থেকে ৩ ভরি ওজনের ২টি স্বর্ণের চেইন, ১ জোড়া কানের দুল চুরি হয়। ওইদিন রাতে স্টক হিসেবে গড়মিল দেখে সিসিটিভি ফুটেজে নারী চোরের মাধ্যমে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হয় দোকান মালিক। কিন্তু তাদের হদিস পাওয়া যায়নি।

ঘটনার এক মাস পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পুনরায় তারা এ দোকানে আসে। স্বর্ণের  গহনা ক্রয়ের কথা বলে গয়না ঘেটে দেখার একপর্যায়ে কৌশলে একটি নাকফুল ও একটি আংটি চুরি করে দোকান ত্যাগ করে। দোকানী স্বর্ণ গুছিয়ে রাখার সময় গহনা গড়মিল দেখে তাদের ডেকে এনে নাকফুল ও আংটি উদ্ধার করেন। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আগের চুরির ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হয়।

দেবিদ্বার থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার জানান, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে একমাস আগে চুরির ঘটনায় সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দোকান মালিক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর