নাটোরের সিংড়ায় এক ইউপি সদস্যের নামে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় দুটি রাস্তার ঢালাই কাজের ৪ লাখ টাকা চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেছেন অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার শুকাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ছোরমান আলী।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় শুকাশের বেলোয়া ও ঝলঝলিয়া গ্রামে দুটি রাস্তার সিসি ঢালাই কাজের ৪ লাখ টাকা বরাদ্দের পিআইসি ছিলেন শুকাশ ইউপি সদস্য মো. ছোরমান আলী। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী পরিষদের চেয়ারম্যানের পরামর্শ নিয়ে নিজ অর্থায়নে সিমেন্ট, বালি, রড ও শ্রমিকসহ যাবতীয় অর্থ ব্যয় করে দুই মাস আগে রাস্তার কাজ সম্পন্ন করেন ইউপি সদস্য। রাস্তা নির্মাণ শেষে ওই রাস্তার অডিটের পর ৪ লাখ টাকার প্রকল্প বরাদ্দ আসলে নির্মাণ কাজের পি আই সি মো. ছোরমান আলীর স্বাক্ষর নিয়ে এক ঠিকাদারির যোগসাজশে কাগজপত্র দেখিয়ে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করেন চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ।
এদিকে ইউপি সদস্য ছোরমান আলী টাকা চাইতে গেলে প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে আসা বাবদ মোটা অংকের অফিস খরচ দেখান চেয়ারম্যান। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ তৈরি হলে কোনো টাকা দেবেন না বলে জানিয়ে দেন চেয়ারম্যান।
ভুক্তভোগী ছোরমান আলী বলেন, চেয়ারম্যানের কথামতো প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয় করে আমি রাস্তা করেছি। রড, সিমেন্ট, ইট, বালি ও শ্রমিকদের সব টাকা দিতে পারিনি। আশায় ছিলাম প্রকল্পের টাকা পেলেই বাকি পরিশোধ করব। এখন তারা বাকি টাকা পরিশোধের জন্য আমাকে চাপ দিচ্ছে। আমি ভীষণ মানসিক চাপে আছি। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সু-ব্যবস্থা চাই।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়। প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের কোনো ক্ষমতা আমার নাই। যে ঠিকাদার কাজ করেছে সেই ঠিকাদারই টাকা উত্তোলন করেছে। ঠিকাদারের নাম আমার জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ