মাগুরায় ‘গ্রামীণ যোগাযোগ, বাজার এবং নিরাপত্তামূলক অবকাঠামো উন্নত প্রকল্প’ শীর্ষক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মাগুরা এলজিইডি মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রকৌশলী শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক মমিন মজিবুল সমাজী। বক্তব্য রাখেন মাগুরা এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী তাসমিন আক্তার, ইউকেয়ার কর্মসূচির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী লুৎফর রহমান ও প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
কর্মশালায় জানানো হয়, পদ্মা সেতু তৈরি হওয়ায় বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার এক নতুন দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির এই প্রেক্ষাপটে মহাসড়ক প্রশস্তকরণ, কৃষিপণ্য উৎপাদন, বাজার ব্যবস্থা সম্প্রসারণসহ গ্রামীণ যোগাযোগ তথা সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ও বিশ্ব ব্যাংক ইউকেয়ার কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর আওতায় মাগুরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলাকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। যার মধ্যে মাগুরায় কৃষি পণ্য উৎপাদন, বিপণন এবং বাজারজাতকরণে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ গ্রোথ সেন্টার-গ্রামীণ হাটবাজার তদসংযোগকারী সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়নের কার্যক্রম এলজিইডি ও সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে।
এ লক্ষ্যে মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী, কাটাখালি, আলোকদিয়া, শ্রীপুর উপজেলার খামারপাড়া, লাঙ্গলবাঁধ, মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর এবং শালিখা উপজেলার সিংড়া বাজার মোট ৭টি বাজারকে এ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
এসব হাট-বাজার তদসংযোগকারী সড়ক সম্প্রসারণ হবে বলে কর্মশালায় অবহিত করা হয়। সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন কাজে জনবল নিয়োগের পাশাপাশি ৫২৪ জন নারী শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হবে।
এই কর্মসূচির লক্ষ্য হচ্ছে নিরাপদ, কার্যকরী এবং টেকসই যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে অর্থনৈতিক করিডোর এবং তার নিকটতম এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মোট পাঁচটি ধাপে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই