বগুড়ার ধুনটে স্বামীর লাগিয়ে দেয়া আগুনে রবিনা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূর শরীর, হাত ও পা ঝলসে গেছে। শরীরে আগুন দিয়ে চিকিৎসা না করিয়ে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়েছে স্বামী মমিন তালুকদার (৩০)। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পাঁচ দিন পর রবিনা খাতুনকে তার স্বজনরা ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার ওই গৃহবধূর বাবা হোসেন আলী বাদী হয়ে জামাই মমিম তালুকদারকে আসামী করে ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দিঘলকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক হাসেন আলীর মেয়ে রবিনা খাতুনের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে একই গ্রামের মৃত সামাদ তালুকদারের ছেলে মমিম তালুকদারের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। কিন্তু ৩/৪ বছর ধরে মোমিন তালুকদার কারণে-অকারণে রবিনা খাতুনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। এসব বিষয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ দরবার হলেও মমিন তালুকদার তার নির্যাতন বন্ধ করেননি।
এমতাবস্থায় গত ১৭ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আব্দুল মমিম তার হাতে থাকা মাছ মারার কাজে ব্যবহৃত মশালের আগুন রবিনা খাতুনের শরীরে লাগিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের কিছু অংশ এবং বাম হাত ও বাম পা আগুনে পুড়ে ঝলসে যায়।
খবর পেয়ে রবিনা খাতুনের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করতে গেলেও স্বামী মোমিম তাদের বাধা দিয়ে ঘরে আটকে রাখে।
রবিনা খাতুনের বাবা হোসেন আলী বলেন, আমার মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন চালাতো মোমিন। একপর্যায়ে সে আমার মেয়েকে হত্যা করতে তার শরীরে আগুন লাগিয়ে ঘরে আটকে রাখে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় মেয়েকে উদ্ধার করে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
বগুড়ার ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ওই গৃহবধূর চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত