প্রতারণার অভিযোগে জনতার হাতে আটক মোহম্মাদ হোসেন (৩১) নামে এক বিজিবি সদস্যকে উদ্ধার করে বিজিবি'র নিকট সোপর্দ করেছে পুলিশ। আটককৃত মোহম্মাদ হোসেন হচ্ছেন ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি উপজেলার মাগুরা গ্রামের দিদারুল্লাহর ছেলে। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জস্থ ৫৩ বিজিবিতে কর্মরত রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের শিবতলা মোড় এলাকায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শিবতলা মোড়ের ডিজিটাল অটোরিকসা হাউসের মালিক মো. ইসারুল হক জানান, আজ সকালে মোহম্মাদ হোসেন তার দোকানে দু’টি নতুন ব্যাটারি বিক্রি করতে আসেন। এর আগে সোমবার সে তার দোকানে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাকিতে ব্যাটারি কিনতে আসলে তাকে বাকিতে ব্যাটারি দেননি ইসারুল হক। এদিকে আজ সকালে সে নতুন ২টি ব্যাটারি বিক্রি করতে আসলে তার সন্দেহ হয়। এসময় তিনি স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটকিয়ে পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা তাকে নিয়ে যায়।
এ ঘটনা জানতে পেরে তার প্রতারণার শিকার অনেক ব্যবসায়ী থানায় ভিড় জমান। এসময় সদর উপজেলার মহারাজপুর মেলার মোড়ের সাইকেল দোকানদার আশরাফ জানান, খবর পেয়ে তিনি থানায় এসেছেন। কারণ এই প্রতারক ২৭ মার্চ পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার নিকট হতে তিনটি বাইসাইকেল বাকিতে নেয়, যার মূল্য ২২ হাজার টাকা। পরে তার মোবাইল বন্ধ পেলে থানায় একটি জিডি করেন তিনি। এরকম প্রায় ৭-৮ জন ব্যবসায়ীকে থানায় দেখা যায়। যাদের নিকট হতে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে ওই বিজিবি সদস্য প্রতারণা করে বাকিতে মালামাল নিয়ে আর যোগাযোগ করেনি। এমনকি তার দেয়া মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ ছিল।
এদিকে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে জনতার কাছ থেকে ওই বিজিবি সদস্যকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে অভিযোগকারীদের সাথে ৫৩ বিজিবি কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বিজিবি নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ৫৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সুরুজ মিয়া বলেন, মোহম্মাদ হোসেন ৫৩ বিজিবি’র সদস্য। সে যে কাজ করেছে তা অপরাধ। তার বিরুদ্ধে বাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তার দ্বারা যারা প্রতারিত হয়েছেন তাদের প্রাপ্য পাওনা পরিশোধ করারও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
