পটুয়াখালীর গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় গত কয়েক দিনে হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ ব্যাপক হাড়ে বেড়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও নারীর সংখ্যাই বেশি। উপজেলা সদরের একমাত্র হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। হিমসিম খেতে হচ্ছে রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক-নার্সদের। এরপরে হাসপাতালে চলছে তীব্র পানি সঙ্কট। যার কারণে ভোগান্তির মাত্রা আরেক ধাপ বেড়েছে।
এদিকে জেলার সাগরপারের উপজেলা রাঙ্গাবালীতে এখনও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রাঙ্গাবালী উপজেলার একমাত্র ভরসা গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দুই উপজেলার একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হওয়ায় এমনিতেই ভিড় লেগেই থাকে। তার ওপরে গত কয়েকদিনে বেড়েছে ডায়রিয়ার ব্যাপক প্রকোপ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী এমনেতেই লবনাক্ততা প্রবন এলাকা। চৈত্র-বৈশাখ মাসে পুকুরগুলোর পানি তলানিতে নেমে যায়। এবং পুকুরের পানি দূষিত হয়ে যায়। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে বাধ্য হয়ে মানুষ দূষিত পানি ব্যবহার করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
মনিরুল ইসলাম আরো জানান, মাত্রারিক্ত রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হলেও ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা সামগ্রীর পর্যাপ্ত মওজুদ রয়েছে। তবে হাসপাতালে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন ও আইভি স্যালাইন থাকায় তেমন কোন সমস্যা হবে না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল