দিনাজপুরের বিরামপুরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দুইটি ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের মানুষ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বিরামপুর উপজেলার খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর গ্রামের মসজিদে একই সময় আয়ড়া বাজার মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দুটি জামাতে ১৫ গ্রামের প্রায় ১শ ১৫ জন মোসল্লি নামাজ আদায় করেন। 

খয়েরবাড়ি মির্জাপুর মসজিদে মো. দেলোয়ার হোসেন কাজি এবং অন্যটিতে মাওলানা ইলিয়াস আলী ইমামতি করেন। জামায়াতে পুরুষ মুসল্লির পাশাপাশি নারী মুসল্লিও উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে ইমাম মো.দোলোয়ার হোসেন কাজি বলেন, সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিনঘন্টা। এই তিন ঘন্টার ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না। তাই এই নামাজ আদায় করা।

তিনি বলেন, আবার হযরত মুহাম্মদ(স) জম্মগ্রহণ করেন ১২ রবিউল আওয়াল সোমবার কিন্তু যদি দিন ধরা হয় তাহলে আমাদের দেশে সেই দিন হয় মঙ্গলবার। আবার ২৭ রমজানে আমরা ‘লাইলাতুল কদর’ রাতে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহকে খুঁজি কিন্তু দিন হিসেবে আমরা একদিন পর সেই রাতকে খুঁজতেছি। এমন বিভিন্ন চিন্তা ও হাদিসি ব্যাখ্যার কারনে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উযদাপন করছি।

দেলোয়র হোসেন বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে এভাবে নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে আমার সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে নামাজ আদায় করছি। তবে গত বারের চেয়ে এবার মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. নুরুল আমিন বলেন, সারাদেশে আগামীকাল ঈদ উদযাপন হলেও বৃহস্পতিবার এই এলাকার কিছু মুসল্লি ঈদ উদযাপন করছেন। এখানে যেন কোন অপ্রীতিকর কোন ঘটনা না ঘটে সেই জন্য বিরামপুর পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিরামপুর থানার ওসি মো.মনিরুজ্জামান মনির বলেন, বিরামপুর উপজেলায় আয়ড়া মোড়ে এবং খয়েরবাড়ি মসজিদে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন