নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক কিশোরীকে (১৪) শ্লীলতাহানী, মারধর ও নির্যাতনের ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় মামরা দায়ের করা হয়। কিন্তু মামলার ৫ দিনেও আসামিরা গ্রেফতার হয়নি। এদিকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভিকটিমের পরিবার।
ভিকটিম বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের দাদী নুরুন নাহার বাদী হয়ে রবিন, রিয়াজ, রাকিব ও খোকন মেম্বার সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দাখিল করেন।
ভিকটিমের চাচা মোরশেদ আলম শনিবার বিকেলে সাংবাদিকদের জানান, ভিকটিমের পরিবারের সাথে একই বাড়ীর লোকজনের সাথে দীর্ঘদিন থেকে পূর্ব শত্রুতা ও জায়গা জমি বিরোধ রয়েছে। ইউপি মেম্বার খোকনের যোগসাজসে এ বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর আগে বাড়িতে দুইপক্ষের বিরোধ লাগলে মেয়েটি মোবাইলে ছবি উঠায়। এতে ক্ষিপ্ত হয় প্রতিপক্ষ আসামিরা তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এই বিরোধের জের ধরে ভিকটিম গ্রামের বাড়ি পশ্চিম মহব্বতপুর থেকে ১৫ই মে, ২০২১ বিকেলে উত্তর নাজিরপুরস্থ থানার পাশেই ফুফুর বাড়িতে আসার পথে মেম্বার খোকনের ছেলে রবিন, জাকির, রিয়াজ ও রাকিবসহ কয়েকজন মেয়েটিকে ফলো করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি ফুফুর বাসায় সামনে গেলে বাসার তালা বন্ধ পান। এই সুযোগে উক্ত বখাটেরা মেয়েটিকে জাপটে ধরে বেধড়ক মারধর শ্লীলতাহানী ও আঘাত করে এবং তার জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে। তার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বেগমগঞ্জ থানার এস.আই মোশতাক আহমেদ জানান, আমি ঘটনাটি তদন্ত করছি। তবে মেয়ের পরিবারের সাথে তাদের জায়গা জমির বিরোধ রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সিকদার জানান, খোঁজ খবর নিয়ে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল