কুড়িগ্রামের কচাকাটায় সাত বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সৎ বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সাথে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে কচাকাটা থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মেয়ের মা বাদী হয়ে কচাকাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেনে। ঘটনাটি ঘটে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পরশু রামেরকুটি গ্রামের মিলনিবাজার এলাকায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরশুরামেরকুটি শাহিবাজার গ্রামের মৃত মোহাম্মদ শেখের ছেলে গ্রেপ্তারকৃত চাঁনমিয়া কবিরাজের (৪৯) দ্বিতীয় স্ত্রী সোনাহাট স্থল বন্দরে পাথর ভাঙ্গা শ্রমিকের কাজ করেন। তার পুর্বের স্ত্রীর একটি সাত বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। ওই কন্যা শিশুকে নিয়ে ওই স্ত্রী পরশুরামেরকুটি গ্রামের মিলনি বাজার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। মাঝে মধ্যে চাঁন মিয়া ওই বাসায় তার ওই স্ত্রী এবং সৎ মেয়েসহ একই বিছানায় রাত্রী যাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার দিবাগত রাতে একই বিছানায় ঘুমান তিন জনই। বৃহস্পতিবার ভোরবেলা তার স্ত্রী বিছানা ছেড়ে রান্না করতে গেলে সৎ মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্ত চাঁন মিয়া। পরে মেয়ে সকালে এই অনৈতিক কাজের বিষয়টি মায়ের কাছে খুলে বলে। সেই সাথে সে তার বাবার বেশ কিছুদিন থেকে এরুপ আচরণের কথাও বলে তার মায়ের কাছে। পরে বৃহস্পতিবার রাতেই স্বামীকে আসামি করে কচাকাটায় থানায় একটি মামলা দায়ের করে মেয়ের মা এবং অভিযুক্তের দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে রাতেই অভিযুক্ত চাঁন মিয়াকে গ্রেফতার এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে কচাকাটা থানার পুলিশ।
এ ব্যাপারে কচাকাটা থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম জানান, শিশুটিকে পরীক্ষার জন্য জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত চাঁন মিয়াকে শুক্রবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার