শিরোনাম
- ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
- বন্দর রক্ষায় হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
- পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
- একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
- রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- ‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
- ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
- ধানের শীষে দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে: দুলু
- ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ৪৩৬ জন
- যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
- এমন ভূমিকম্প আগে কখনও অনুভব করিনি : ফারুকী
- ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশনা
- ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ দক্ষতা-পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে’
- ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধ ও কিশোরের
- এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
- নরসিংদীতে ভূমিকম্পে বাবা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক আহত
- চাটমোহরে রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
- ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য তারেক রহমানের শোক
রায়পুরের মেঘনায় মিলছে না ইলিশ
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্খিত রূপালী ইলিশ। ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে এক মাস আগে। গত ১ মে থেকে নদীতে জাল, নৌকা, ট্রলার ও বিভিন্ন মাছ ধরার সরঞ্জামাদি নিয়ে এ উপজেলার প্রায় সাড়ে ৭ হাজার জেলে ইলিশ ধরতে মেঘনা নদীতে নামেন। এই এক মাস নদীতে জাল ফেলেও জেলেদের জালে মিলছে না রূপালী ইলিশ। ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হলেও রায়পুরের মেঘনায় চলছে ইলিশের চরম আকাল। এতে বিপাকে পড়েছেন জেলে সম্প্রদায়। অনেকে বলছেন, এবার ব্যাপক হারে জাটকা নিধন হওয়ায় জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে না।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। ঐ এলাকায় ১মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরণের জাল ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছিলো সরকার। কাঙ্খিত ইলিশের আশায় কোমড় বেঁধে নদীতে নামে জেলেরা।
সরেজমিন ঘুরে কয়েকটি মাছঘাটে দেখা যায়, বিভিন্ন দূর-দুরান্ত থেকে মাছের পাইকাররা এসে ইলিশ কিনতে না পারায় খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। মেঘনা নদীর জালিয়ার চর, চরবংশী ও চরলক্ষ্মী এলাকার জেলে আইনুদ্দিন, সেলিম বকাউল ও ছিডু মাঝি বলেন, গত এক মাস ধরে নদীতে লাখ লাখ টাকার জাল, নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে নেমেছি। প্রতিদিন আমাদের সাড়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়। কিন্তু দিন-রাত নদীতে জাল ফেলে মাত্র আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকার মাছ পাই। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে জাল, নৌকা তৈরি করেছি। ভেবেছিলাম ইলিশ শিকার করে দেনা পরিশোধ করবো। উল্টো নতুন করে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। নদীতে ইলিশ ধরা না পড়লে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে। অন্যদিকে, লোণ পরিশোধ করতে না পারায় রয়েছি চরম দুশ্চিন্তায়।
উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, এ বছর বৃষ্টিপাত শুরু না হওয়ায় নদীতে তেমন ইলিশ ধরা পড়ছে না। সামনে বৃষ্টিপাত হলে নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর