শিরোনাম
- ইসলামী অর্থনীতিতে বাজারদর নির্ধারণের ন্যায়সংগত পথ
- খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
- আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
- চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের শুভসূচনা
- ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা
- তিন দাবিতে ১৩ ঘণ্টা ধরে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা
- চতুর্থ ধাপে একাদশে ভর্তি: বাদ পড়াদের জন্য সুখবর
- নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
- সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?
- স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?
- এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
- ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম
- চাঁদপুরে জব্দকৃত ৬০ কেজি গাঁজা ধ্বংস
- নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে শাবিপ্রবিতে স্মারকলিপি
- শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা
- নতুন নেতৃত্বে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ
- যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানতে চান জেলেনস্কি
- কারাগারগুলোতে চলছে মাসব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান-ডোপ টেস্ট
- চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে বিজ্ঞান মেলা শুরু
- সিলেটে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা সরাতে আল্টিমেটাম
রায়পুরের মেঘনায় মিলছে না ইলিশ
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীতে মিলছে না কাঙ্খিত রূপালী ইলিশ। ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে এক মাস আগে। গত ১ মে থেকে নদীতে জাল, নৌকা, ট্রলার ও বিভিন্ন মাছ ধরার সরঞ্জামাদি নিয়ে এ উপজেলার প্রায় সাড়ে ৭ হাজার জেলে ইলিশ ধরতে মেঘনা নদীতে নামেন। এই এক মাস নদীতে জাল ফেলেও জেলেদের জালে মিলছে না রূপালী ইলিশ। ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হলেও রায়পুরের মেঘনায় চলছে ইলিশের চরম আকাল। এতে বিপাকে পড়েছেন জেলে সম্প্রদায়। অনেকে বলছেন, এবার ব্যাপক হারে জাটকা নিধন হওয়ায় জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে না।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। ঐ এলাকায় ১মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরণের জাল ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছিলো সরকার। কাঙ্খিত ইলিশের আশায় কোমড় বেঁধে নদীতে নামে জেলেরা।
সরেজমিন ঘুরে কয়েকটি মাছঘাটে দেখা যায়, বিভিন্ন দূর-দুরান্ত থেকে মাছের পাইকাররা এসে ইলিশ কিনতে না পারায় খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। মেঘনা নদীর জালিয়ার চর, চরবংশী ও চরলক্ষ্মী এলাকার জেলে আইনুদ্দিন, সেলিম বকাউল ও ছিডু মাঝি বলেন, গত এক মাস ধরে নদীতে লাখ লাখ টাকার জাল, নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে নেমেছি। প্রতিদিন আমাদের সাড়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়। কিন্তু দিন-রাত নদীতে জাল ফেলে মাত্র আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকার মাছ পাই। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে জাল, নৌকা তৈরি করেছি। ভেবেছিলাম ইলিশ শিকার করে দেনা পরিশোধ করবো। উল্টো নতুন করে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। নদীতে ইলিশ ধরা না পড়লে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে। অন্যদিকে, লোণ পরিশোধ করতে না পারায় রয়েছি চরম দুশ্চিন্তায়।
উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, এ বছর বৃষ্টিপাত শুরু না হওয়ায় নদীতে তেমন ইলিশ ধরা পড়ছে না। সামনে বৃষ্টিপাত হলে নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত
এই বিভাগের আরও খবর