চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিনকে জেল-হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি নাশকতা পরিকল্পনা মামলার আসামি ছিলেন। রবিবার (৩০ মে) দুপুরে জামিন নিতে গেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ শহরের কবরী রোডে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে শরীফ হাসান নামে এক জামায়াত নেতাকে আটক করে পুলিশ। সে সময় তার কাছ থেকে ‘জিহাদি’ বই উদ্ধার করা হয়। পরে আটক শরীফের স্বীকারোক্তিতে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিনের বাসা ও ল চেম্বারে তল্লাশি করে পুলিশ। সেখান থেকেও উদ্ধার করা হয় একই ধরনের বই পুস্তক।
এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত শরীফ হাসান, পলাতক জেলা জামায়াত সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন ও পৌর জামায়াতের আমীর মাসুদ পারভেজ রাসেলের নাম উল্লেখসহ ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করে। এরপর জেলা জামায়াত সেক্রেটারি রুহুল আমিন ও অন্য আসামিরা গত ২৪ মার্চ উচ্চ আদালত থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন লাভ করেন। এরপর আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রবিবার আসামিরা নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জামিন আবেদন করে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হন জেলা জামায়াত সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন ও পৌর জামায়াতের আমীর মাসুদ পারভেজ রাসেল। এসময় রাসেলের জামিন মঞ্জুর করা হলেও রুহুল আমিনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে তাকে জেল হাজতে নেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার