ময়মনসিংহের তারাকান্দায় একটি ফ্রিজিয়াম জাতের গাভী একসাথে তিন বাছুর জন্ম দিয়েছে। উপজেলার কাকনী ইউনিয়নের আউটধার গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কৃষক আজিজুলের এই গাভী তিন বাছুর জন্ম দেয়।
গত বুধবার ভোরে একটি ও সকাল ৮টার দিকে দুইটিসহ মোট তিনটি বাছুর প্রসব করে গাভীটি। পরে ধীরে ধীরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উৎসুক জনতা ভিড় করতে থাকে আজিজুলের বাড়িতে।
আজিজুল আগে গরু পালনের পাশাপাশি রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। পরে গরুতেই তার কপাল খোলে। গত দুই বছর আগে একটি বাছুরসহ ফ্রিজিয়াম জাতের এই গরুটি এক লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন আজিজুল। এরপর তার গোয়ালে এসে আরেকটি ষাঁড় বাছুর হয়েছিল। ৪০ হাজার টাকায় ওই বাচ্চাটি বিক্রি করে দেন তিনি।
এছাড়া প্রতিদিন প্রায় ২০ লিটার করে দুধ বিক্রি করতে পারেন আজিজুল। তার মাত্র দুই কাঠা জমি থাকলেও সংসার চালাতে তেমন বেগ পান না তিনি। বর্তমানে দুই লাখ টাকা খরচ করে একসাথে ৮টি গরু পালনের বন্দোবস্ত করেছেন তিনি।
তার স্ত্রী লাইলি বেগম বলেন, বড় ছেলেটি কাকনী উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। কোলে ৯ মাস বয়সী একটি মেয়ে বাচ্চা লইয়াই গরুর বাছুরগুলোর খেদমত করি। এবার একসাথে তিনটি বাছুর হওয়ায় সকল কষ্ট দূর হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গরু পালনের পর থেকে আমাদের ভাগ্য ফিরেছে। এবার যে তিনটি বাছুর জন্ম নিয়েছে ভাগ্যক্রমে তিনটিই বকনা বাছুর। এগুলো এক নজর দেখতে আশপাশ থেকে ছুটে এসেছেন উৎসুক মরম আলী, উজ্জ্বল মিয়া, মামুন, সাঈদুল হক ও হেকিম আকন্দসহ অনেকে।
সরেজমিন দেখা যায়, গাভীসহ বর্তমানে তিনটি বাছুরই সুস্থ রয়েছে। তবে ডাক্তার দেখাতে পারলে ভাল হতো বলে তারা জানান। আজিজুলের বাড়িতে একটি ছোট্ট ঝুঁপড়িতে কবুতর পালন করতেও দেখা গেছে।
কৃষক আজিজুল বলেন, আমি আগে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতাম। গরুতে লাভ পেয়ে ওই পেশাডা ছাইড়া দিছি। আমার বর্তমানে ২টি বড় গরু আর এই তিনটি বাছুর। ভবিষ্যতে আমি এটাতেই থাকতে চাই। আমি একসাথে ৮টি গরু পালনের বন্দোবস্ত করছি। কিন্তু আর্থিক অভাবের কারণে আর গরু কিনা সম্ভব হচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/এমআই